স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে দলবদ্ধ ধর্ষণ’, লাশ পাওয়া গেল হাতিরঝিলে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

রাজধানী থেকে এক স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রবিন ও রাব্বি মৃধা নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুই যুবক জানিয়েছেন, হাত-পা বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করেন তারা।

রবিবার (২ জানুয়ারি) হাতিরঝিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরী দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি দক্ষিণখানের বাসা থেকে বের হয় মেয়েটি। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তিন দিন পর ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা।  পরবর্তীতে ২৭ জানুয়ারি একটি মামলা করা হয়। ওই স্কুলছাত্রীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রবিনকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গাড়িচালক রবিন হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর। দেড় মাসের পরিচয় সূত্রে সাক্ষাতের জন্য তাকে গত ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর মহাখালীতে ডেকে নেয় রবিন। সেখান থেকে হাজীরবাগে বন্ধুর ভাড়া করা বাসায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে পাঁচজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় সে চিৎকার করলে মুখের মধ্যে কাপড় গুঁজে দেয় তারা। একপর্যায়ে সে মারা গেলে প্লাস্টিকের বস্তায় লাশ ভরে রিকশায় তুলে রাত ৩টার দিকে গুলশান পুলিশ প্লাজার পশ্চিমের ব্রিজ থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দেয় তারা।

নিহতের বাবা বলেন, ‘আমার যে মেয়েটি স্কুলে যেত, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করত, আজ সে লাশ হয়ে বাসায় ফিরেছে। যারা আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, ‘রবিন ও রাব্বির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাতিরঝিল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে  ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’


সর্বশেষ সংবাদ