শাবিপ্রবিতে গাঁজাসহ ১৫ শিক্ষার্থী-বহিরাগত আটক

জব্দ করা গাঁজার পুরিয়া এবং আটককৃতরা
জব্দ করা গাঁজার পুরিয়া এবং আটককৃতরা  © টিডিসি ফটো

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) গাঁজার যোগানদাতা ও কেনাবেচার সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় পাঁচ বহিরাগতকে আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় শাবিপ্রবির দশ শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়।

শুক্রবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গাঁজা যোগানদাতা সোয়াব আলীর তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে কৌশলে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডি। পরে আটককৃত বহিরাগতদের জালালাবাদ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সর্তক করে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের পাশ থেকে সোয়াব আলীকে কৌশলে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে প্রায় ২৫ গ্রাম ওজনের মোট ৩২ পুরিয়া (পুটলি) গাঁজা পাওয়া যায়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সংলগ্ন এলাকায় গাঁজা সরবরাহ করত। পরে তার মোবাইল কল লিস্ট চেক করে ও তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের আটক করা হয়।

আটককৃত বহিরাগতরা হলেন যুগীপাড়ার মিলন মিয়া, ক্যাম্পাসের টং দোকানের কর্মচারী মইনুল মিয়া, নাজিরগাও এলাকার পল্লাল আহমেদ। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জালালাবাদ থানার এসআই বিমল দে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের মাধ্যমে কোর্টে চালান করা হবে।

এছাড়াও গাঁজা নিতে এসে আটককৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের দশ শিক্ষার্থীরা হলেন স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মুরশিদুল মুকারাব্বিন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাজিদ মোস্তফা, একই বিভাগের এ এম আবু সাবিত, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা সোয়েব, একই বিভাগের ওমর ফারুক, বিএমবি বিভাগের আহমদুর রহমান, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের ফাহাদ বিন আহমেদ, আশিক আরাফাত, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খালিদ আল রাফি ও রাকিবুল ইসলাম। তাদেরকে মুচলেকার বিনিময়ে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে আটককৃত দশ শিক্ষার্থীকে কেন ছেড়ে দেয়া হল এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। তবে জানা যায়, অনেকেরই ফাইনাল পরীক্ষা চলায় তাদেরকে সর্তক করে ছেড়ে দেয়া হয়।

প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকদ্রব্য সরবরাহকারী সোয়াব আলীকে আমরা অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। এছাড়া তার সহযোগী আরো কয়েকজনকে প্রশাসনের তৎপরতায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক মানুষের চিন্তাশক্তিকে বিনষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আহবান জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ