যে কারণে হত্যা করা হয় পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিমকে

ছবিতে ডানে টাইরেস ডেঁভো হ্যাসপিল 
ও বামে ফাহিম সালেহ
ছবিতে ডানে টাইরেস ডেঁভো হ্যাসপিল ও বামে ফাহিম সালেহ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ফাহিম সালেহকে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন করা হয়েছিলো। এ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হ্যাসপিলের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সালেহর হাজার হাজার ডলার তছরুপ করার পর সেই ঘটনা লুকাতেই তিনি ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ফাহিমের আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো দেখতেন হ্যাসপিল। তিনি ফাহিমের মোটা অঙ্কের অর্থ (৪ লাখ ডলার) সরিয়ে ফেলেছিলেন। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ফাহিম ওই অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু হ্যাসপিল এরপরও অর্থ চুরি করছিলেন ও আইনগত পদক্ষেপের সম্মুখীন হওয়ার হুমকি পান।

সরকারি কৌঁসুলিদের ধারণা, ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক খুন করেন হ্যাসপিল। এর আগে টেজার ব্যবহার করে ফাহিমকে অজ্ঞান করা হয়। টেজারের সূত্র ধরে হ্যাসপিলকে শনাক্ত করার কথা জানায় পুলিশ। হত্যার পর ফাহিমের শরীর খণ্ডবিখণ্ড করার কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক করাতসহ পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী কেনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। ফাহিমকে খুন করার মাত্র কয়েক দিন পর নতুন বান্ধবীকে উপহার দিতে চুরি করা অর্থ ব্যবহার করেন হ্যাসপিল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুন ছাড়াও অর্থসম্পদ লুট, চুরি, লাশ গুমের চেষ্টা ও আলামত নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দোষী সাব্যস্ত হলে হ্যাসপিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখে পড়তে পারেন। অবশ্য তাঁর কৌঁসুলিদের আশা, কথিত মানসিক অবস্থা বিবেচনায় সাজা লঘু হতে পারে হ্যাসপিলের।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence