বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হচ্ছেন তাইজুল ইসলাম?
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৮ PM , আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৮ PM
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই আচমকা টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার এই সিদ্ধান্তে হঠাৎ করেই বাংলাদেশের লাল বলের দলের নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে। এখনো নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে নতুন অধিনায়ক নিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
তবে টেস্ট দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে যখন গুঞ্জন তুঙ্গে, ঠিক তখনই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। সম্প্রতি ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দলের প্রয়োজন হলে তিনি নেতৃত্ব নিতে প্রস্তুত, যদিও তিনি পদটির প্রতি লোভী নন।
তাইজুল বলেন, “আমার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। এমন কোনো গুণ নেই, যা আমার মধ্যে অনুপস্থিত। দলের প্রয়োজনে যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত আছি। তবে এটাও ঠিক যে, আমি নেতৃত্বের জন্য লোভী নই।”
টেস্ট নেতৃত্বের সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তাইজুল। তার ভাষায়, “টেস্টের অধিনায়কত্বকে আমি খুব একটা আকর্ষণীয় কিছু বলে মনে করি না। আমার মতে, একজন অধিনায়কের একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকা জরুরি—তিনি দলকে কোথায় নিতে চান। আমি কেমন দল চাই এবং আগামী দুই বছর পর দলকে কোথায় দেখতে চাই—সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এসব সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের। যদি সুযোগ আসে, তবে কেন নয়?”
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শান্ত বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার অধীনে ১৪ টেস্টে ৪ জয়, ১ ড্র এবং ৯ হারে জয় শতাংশ ২৮.৫৭। দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান, যিনি ১৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ৪টি জিতেছেন (সাফল্য ২১.০৫ শতাংশ)। মুশফিকুর রহিমের অধীনে ৩৪ টেস্টে ৭ জয় এবং সাফল্যের হার ২০.৫৮ শতাংশ।
সম্প্রতি ওয়ানডে দল থেকেও শান্তকে সরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে অধিনায়ক করেছে বিসিবি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, টেস্টে নেতৃত্বের ভারও হয়তো মিরাজের কাঁধেই যাবে। তবে শোনা যাচ্ছে, বিসিবি তিন ফরম্যাটে তিনজন আলাদা অধিনায়ক নিয়োগের কথাও ভাবছে।
এই প্রেক্ষাপটে তাইজুল ইসলামের নামও আলোচনায় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট একাদশে তিনি অন্যতম নির্ভরযোগ্য এবং ধারাবাহিক পারফর্মার।
তবে অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গে নিজের কিছু পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেছেন তিনি। “এখানে কিছু বাস্তব বিষয়ও আছে। আমার মতে, বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর। এই বয়সে আপনি পিচে যেখানে ইচ্ছা বল ফেলতে পারেন। আবার অভিজ্ঞতাও গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের আগে আমি খুব একটা বিদেশে টেস্ট খেলার সুযোগ পাইনি। এখন দেশে ও বিদেশে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যখন অভিজ্ঞতা পূর্ণ হয়, পারফরম্যান্সও তেমনই আসে। নতুনদের ক্ষেত্রে সেটা কঠিন—তাদের সময় দিতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সময় পেয়েছি এবং উন্নতিও করছি।”