টেল-এন্ডারদের নৈপুণ্যে সম্মানজনক পুঁজি বাংলাদেশের
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১১:১৯ PM , আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ০৬:৪০ PM

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০৫ রান করেও ২ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হারের পর বোলিং-ফিল্ডিংয়ে নিজেদের ভুল স্বীকারের পাশাপাশি শিশিরের ওপর দায় চাপিয়েছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। এবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে টেল-এন্ডারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২১ মে) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রান জড়ো করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন জাকের আলি অনিক।
ব্যাটিংয়ে নেমে পেসার আকিফ রাজার করা প্রথম ওভারে ১০ রান তোলেন ওপেনার তামিম। তবে অন্যপ্রান্তে গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফেরেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ। স্পিনার ধ্রুব পরাশরের প্রথম ডেলিভারিতে লং অফে শারাফুর হাতে মুঠোবন্দি হন এই ওপেনার।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দুই অঙ্ক পেরোলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি লিটন। সমান ১ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৪ রানে থামেন টাইগার দলপতি।
তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। ২ বল মোকাবিলায় রানের খাতা খুলতে পারেননি মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। দলীয় হাফ-সেঞ্চুরি পেরোনোর আগে ৯ বল খেলে মাত্র ২ রানে ফেরেন শেখ মেহেদি।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখা তানজিদ তামিমও এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১৮ বল মোকাবিলায় সমান ৪টি করে চার-ছক্কায় ৪০ রানে ফেরেন এই ওপেনার।
এরপর শামীম পাটোয়ারীর কাঁধে দলকে ম্যাচে ফেরানোর দায়িত্ব পড়েছিল। তবে এই অলরাউন্ডার-ও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই এক বাউন্ডারিতে দলীয় ৬৯ রানে ফেরেন তিনি। স্কোরশিটে আরও ২ রান যোগ হবার সাজঘরে ফেরেন রিশাদ। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এরপর ১২ বলে ৬ রান করে তানজিম ফিরলে দলীয় ৮৪ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন জাকের আলি অনিক। কিন্তু ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৩ ছক্কায় ও এক চারে ৪১ রানে ফেরেন জাকির।
শেষদিকে ৩ ছক্কায় ১৫ বলে হাসান মাহমুদের ২৬ এবং ৭ বলে সমান এক চার ও ছক্কায় শরিফুলের ১৬ রানের ক্যামিওতে লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।