১৮ বছর হওয়ার আগেই দেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার এখনো উদ্বেগজনক। আঠারো বছর বয়সের আগেই দেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। আর  ১৫-১৯ বছর বয়সী এক হাজার মেয়ের মধ্যে ৭১ জন এক বা একাধিক সন্তানের মা। মঙ্গলবার (১০ জুন) ইউএনএফপিএ- এর বৈশ্বিক জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২৫ বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও বাংলাদেশের মতো এত বেশি বাল্যবিবাহ নেই। বাল্যবিবাহ বেশি হওয়ার কারণে কিশোরীদের গর্ভধারণ বাড়ে। কিশোরী মা হলে তার মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে, সন্তানের মৃত্যু বা অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।

এতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ এখনো তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার ভোগ করতে এবং পছন্দের বিষয়গুলো চর্চা করতে পারে না। জনসংখ্যা বেশি বা জনসংখ্যা কম—এই বিতর্কের চেয়ে একজন ব্যক্তি তার নিজের প্রজনন লক্ষ্য পূরণ করতে পারছেন কি না, সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি মূলত প্রজনন সমস্যা। এই সমস্যা সব ক্ষেত্রে দেখা যায়।

জনসংখ্যাবিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রয়োজনের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী না পাওয়ার অর্থ অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ বেড়ে যাওয়া। এটি নারীস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

দেশে মাতৃ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কিছু পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে। এগুলোতে বলা হওঁয়, দেশের ১০ শতাংশ দম্পতি প্রয়োজনের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী হাতের কাছে পায় না। জনসংখ্যাবিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রয়োজনের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী না পাওয়ার অর্থ অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ বেড়ে যাওয়া। এটি নারীস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ইউএনএফপিএ বলছে, দেশে ৭০ শতাংশ নারী সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পায়। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ প্রসবের সময় কোনো দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত থাকেন না। এসব প্রসব হয় অদক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে।

নারী অধিকারের আরেকটি তথ্য প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ২৩ শতাংশ নারীর এক বছরের মধ্যে তার স্বামীর হাতে মারধর বা নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।


সর্বশেষ সংবাদ