হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে পুরান ঢাকায় বিক্ষোভ
- কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৯ AM
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে রায় সাহেব বাজার হয়ে তাঁতীবাজার মোড়ে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। এসময় সড়কে বসে পড়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ইউনূস কী করে, সন্ত্রাসীরা গুলি করে’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘জাহাঙ্গীর কী করে, সন্ত্রাসীরা মানুষ মারে’, ‘গুলির মুখে কথা কবো, আমরা সবাই হাদি হবো’, ‘তুমি কে আমি কে-হাদি হাদি’, ‘উই ওয়ান্ট উই ওয়ান্ট, জাস্টিস জাস্টিস’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
পরে তাঁতীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে শাঁখারীবাজার মোড়ের বিশ্বজিৎ চত্তরে এসে সমাবেশ করেন তারা। পরে ওসমান হাদির রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মরিয়ম আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কখনো কল্পনা করিনি জুলাই যোদ্ধা হাদি ভাইকে হত্যা করা হবে। আমরাও জুলাই যোদ্ধা, এই ওসমান হাদির জায়গায় আমরাও থাকতে পারতাম। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যর্থ, কেননা এখন পর্যন্ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং এখনো সংস্কার হয়নি। যার কারণে আমাদের জীবনের আসলে কোন নিশ্চয়তা নেই।
সাকিবুল হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, জনমানুষের নিরাপত্তা দিতে এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অক্ষম। আমরা তার পদত্যাগ চাই। আর কোনো জুলাই যোদ্ধাকে যেন এইভাবে জীবন দিতে না হয়। আমরা জুলাই যোদ্ধা ভাইদের রক্ত আর দেখতে চাই না। যারা হাদি ভাইকে হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
শিক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন, ওসমান হাদিকে মেরে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা মোটেও ভীত না। একজন ওসমান হাদি মারা গেলে আরো দশজন ওসমান হাদি যুগে যুগে জন্মাবে। হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি মারা যান। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।