এমপি প্রার্থী ছেলের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাবা

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দিচ্ছেন রুহুল আমিন (ইনসেটে অভিযুক্ত কে এম ফরিদ আমিন)
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দিচ্ছেন রুহুল আমিন (ইনসেটে অভিযুক্ত কে এম ফরিদ আমিন)  © টিডিসি

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত এমপি প্রার্থী কে এম ফরিদ আমিনের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন তার নিজ বাবা রুহুল আমিন। প্রতারণা, চুরির মামলায় সাজা, ওয়ারেন্টসহ নানা অভিযোগের পাশাপাশি এবার বাবাকে মারধরের অভিযোগে ঘিরে এই প্রার্থীকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী বাবা নিজেই।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন উল্লেখ করেন, ‘আমার ছেলে ফরিদ আমিন আমাকে ৪ ডিসেম্বর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় আমি চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। জমা দেওয়ার পর থেকে সে আমাকে অভিযোগটি প্রত্যাহার করার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। অন্যথায় আমাকে প্রাণে হত্যা করবে। শুনেছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবে। যে ছেলেকে বাবাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে, সে ছেলে কীভাবে জনসেবা করবে?’

তিনি বলেন, ‘২০১০ সালের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার জনৈক আবু রশিদ বাদী হয়ে ব্যাংকের গাড়ি চালক হিসেবে থাকাকালীন ফরিদ আমিনের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পলাতক থাকায় বর্তমানে এই মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান করেছেন আদালত। ফরিদ আমিন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও বাবাকে মারধর করেন। এই ঘটনায়ও চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’

লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘প্রায় সময় কে এম ফরিদ আমিন ও তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার যোগসাজশে আমাকে মারধর করে। এসব ঘটনায় থানায় এর আগেও একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে পরস্পর যোগসাজশে একত্র হয়ে কে এম ফরিদ আমিন গং রুহুল আমিনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ সময় আমাকে বাঁচাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম, পাশের আবদুল আহাদ ও মরিয়ম এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে। একপর্যায়ে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানা পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ বা আদালতে মামলা করলে আমাকে হত্যা করার হুমকি দেয় কে এম ফরিদ আমিনসহ হামলাকারীরা।’

এ বিষয়ে কে এম ফরিদ আমিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবার সাথে কোনো বিরোধ নেই।’ এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রুহুল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদা বেগম, আত্মীয় হারেছ মিয়া, হাফেজ দ্বীন মোহাম্মদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence