সুন্দরবনে ‘ডন বাহিনী’ পরিচয়ে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২০ AM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২১ AM
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর হাসখালী, চেলাকাটা ও হেতালবুনে খাল থেকে কাঁকড়া শিকারের সময় সাত জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যুরা। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) অপহরণের পর ‘ডন বাহিনী’ পরিচয়ে মাথাপতি ৪০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন- শ্যামনগরের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), আনারুল ইসলাম (২২), মজিবুল ইসলাম (৩৫), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), নাজমুল হোসেন (৩৪), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও শামীম হোসেন (৩৬)।
ফিরে আসা দুই জেলে দক্ষিণ কদমতলার ফজের আলী ও সবুজ হোসেন জানান, গত ২ ডিসেম্বর কদমতলা বন অফিস থেকে বৈধ পাস নিয়ে তাঁরা সুন্দরবনে কাঁকড়া শিকারে যান। রবিবার ভোরে হাঁসখালী, চেলাকাটা ও হেতালবুনে খালে শিকার অবস্থায় হঠাৎ তিনটি নৌকায় থাকা ১০ জন অস্ত্রধারী তাদের ঘিরে ধরে। নিজেদের ‘ডন বাহিনী’ পরিচয় দিয়ে দস্যুরা প্রতি নৌকা থেকে একজন করে জেলে উঠিয়ে নেয় এবং জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে বলে। একই সঙ্গে এ (০১৭৪১৮৮২৬৫৭) বিকাশ নম্বরও দেয়।
দুই জেলে আরও বলেন, অপহরণকৃত জেলেদের বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের দাবি, সমিতি ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ করে তারা বনে গিয়েছিল। এখন চালান তুলতে না পারার পাশাপাশি মুক্তিপণ দিয়ে সহকর্মীদের ছাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, জেলেদের কাছ থেকে অপহরণের বিষয়টি শুনেছেন। বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রল টিম ভেতরে টহলে আছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘ডন বাহিনী’ ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আবারও দস্যুতা শুরু করেছে। আলিফ ওরফে অলিম ও রবিউল বাহিনীর মতো ডন বাহিনীর কার্যক্রমও বেড়েছে। বাহিনী প্রধানের বাড়ি খুলনায় হলেও শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের আটিরউপর গ্রামের শাহাজান ও শফিকুল ইসলাম ওরফে ভেটে শফিকুলসহ কয়েকজন স্থানীয় যুবক এ দলে যুক্ত হয়ে কাজ করছে।