পতিত জমিতে মাচায় লাউ চাষে আশার আলো, কৃষকের মুখে হাসি

কৃষক কামরুজ্জামান
কৃষক কামরুজ্জামান  © টিডিসি ফটো

পতিত জমি এখন সবুজে ভরে উঠছে। মাচায় ঝুলছে অসংখ্য লাউ কোনোটা কচি, কোনোটা বিক্রির উপযুগি। ক্ষেতজুড়ে দুলছে সবুজ, আর কৃষকের মুখে ফুটছে তৃপ্তির হাসি। একসময় অনাবাদি পড়ে থাকা জমিতে এখন ফলছে আশার ফসল লাউ। একসময় জমি অনাবাদি পড়ে থাকত, সেখানে এখন দুলছে সবুজের ছায়া। লাউয়ের মাচা শুধু ফলনের নয়, কুড়িগ্রামের কৃষকের মুখে এনে দিয়েছে জীবনের হাসি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কুমরপুর এলাকার কৃষক কামরুজ্জামান। মাত্র ১৫ শতক জমিতে মাচায় লাউ চাষ করে পেয়েছেন ভালো ফলন। তার চোখে এখন নতুন স্বপ্ন,আরও বড় পরিসরে চাষ করবেন আগামী মৌসুমে।

আরও পড়ুন: স্কাউটসের উপ-প্রধান কমিশনার থেকে বিএনপিতে, এখনও পদে থাকা ‘বেআইনি’ বলছে বাংলাদেশ স্কাউটস

কৃষকরা জানান, ‘আগে মাঠে লাউ চাষ করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতো, ফলনও কম হতো। এখন মাচায় চাষ করে খরচ কম, ফলনও ভালো।’ স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে উন্নত জাতের বীজ ও মাচা পদ্ধতিতে চাষ করায় পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কমেছে। ফলে প্রতিটি গাছে ধরছে প্রচুর লাউ, আর বাজারে দামও পাচ্ছেন ভালো।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের তরুণ কৃষক আশিক বলেন, ‘আমি ২৪ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। লাউ বিক্রি করছি প্রায় ৫০ হাজার টাকার। কৃষি বিভাগ পরামর্শে আমার ফলন ভালো হয়েছে।’

গ্রামের আরও অনেক কৃষক এখন তার দেখে আগ্রহী হচ্ছেন। কেউ নিজের বাড়ির পাশে ছোট আকারে চাষ শুরু করেছেন, কেউ আবার পতিত জমি ব্যবহার করছেন নতুন করে লাউ চাষ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদা আফরিন বলেন, ‘পতিত জমি ও বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের লাউ চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।’


সর্বশেষ সংবাদ