নাটোরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেন
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেন  © সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেনের বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে দায়িত্বপালনের সময় প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকার প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বকুল হোসেন দাবি করেছেন, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করছে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ।

ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষিকা জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) তার কোনো ক্লাস না থাকায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেন এসে তার মাস্ক খুলে দেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বাধা দিলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে নিজ কক্ষে ফিরে যান। পরে আবারও তিনি বিশ্রাম নিতে গেলে প্রধান শিক্ষক এসে মাস্ক খুলে কিস করেন এবং জোরপূর্বক তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে তার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাকে (প্রধান শিক্ষককে) ধাক্কা দিয়ে সরে যাই এবং সহকর্মী আছিয়া খাতুন ও রমজান আলীকে বিষয়টি জানাই। পরে সবাই মিলে তাকে অপমান করি।’

তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার নামে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই শিক্ষিকা আমার শ্যালকের স্ত্রী ছিলেন। আমার শ্যালক মারা যাওয়ার পর তিনি গোপনে বিয়ে করেন। কিছু আর্থিক লেনদেন নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ হয়। সেই ঘটনার জেরেই সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।’

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রেহানা পারভীন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস-কে বলেন, ‘আমাদের কাছে উভয় পক্ষের অভিযোগ এসেছে। ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ