সাপের উপদ্রব

কর্ণফুলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই অ্যান্টিভেনম, ঝুঁকিতে সাপে কাটা রোগীরা

কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  © সংগৃহীত

বর্ষা এলেই বেড়ে যায় সাপের উপদ্রব। গ্রামাঞ্চলে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই জরুরি বিভাগ ও অ্যান্টিভেনম। ফলে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ভরসা রাখতে হচ্ছে আনোয়ারা ও পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল শুকুর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নামে মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলেও এখানে নেই জরুরি বিভাগ, নেই উন্নত চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে আমাদের পাশের উপজেলা বা চট্টগ্রাম মেডিকেলে ছুটতে হয়।’

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মৎ জেবুন্নেসা বলেন, ‘কর্ণফুলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগ নেই, অ্যান্টিভেনমও মজুদ নেই। তাই এখানে সাপে কাটা রোগী ভর্তি বা উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। নিকটবর্তী আনোয়ারা ও পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সুবিধা ও অ্যান্টিভেনম রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে বিষধর সাপে কামড়ালে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। অ্যান্টিভেনম সময়মতো পেলে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, গ্রামে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা সীমিত। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ অনেকে প্রথমে কবিরাজি বা ঝাড়ফুঁকের দিকে ঝুঁকেন। এতে রোগীর অবস্থা জটিল হয়ে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা থেকে পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় কর্ণফুলী উপজেলা, যা দেশের ৪৯০তম উপজেলা।

এদিকে কর্ণফুলীতে নতুন হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রসিং এলাকায় ২৫০ শয্যার একটি হাসপাতালের জন্য জমি চিহ্নিতকরণ, পরিমাপ ও দখল সংক্রান্ত প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শিগগিরই এর ফিজিবিলিটি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ