সাংবাদিককে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে গেলেন দুর্বৃত্তরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৪ PM , আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২০ AM
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চোরাকারবারিদের হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক খোরশেদ আলম। তাকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নলকূড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে শারীরিক অবস্থা অবনতির কারণে শনিবার সকালে শেরপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
খোরশেদ আলম দুটি জাতীয় দৈনিকের ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইগাতী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে মাদক, শাড়ি, কম্বল ও মোবাইল ফোনের সরঞ্জামসহ নানা পণ্য দেশে প্রবেশ করছে। শুক্রবার রাতে সংবাদকর্মীর দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে খোরশেদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল চোরাকারবারি। এতে তার নাক, কান, চোখ ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
পারভেজ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সড়কের পাশে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় জামাল এসে আহত ব্যক্তিকে চিনতে পারেন সাংবাদিক খোরশেদ আলম হিসেবে। মাথায় পানি ঢাললে ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরলেও কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতের ভাই হুমায়ুন আলম জানান, তার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। বুক, মাথা, মুখ, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোরশেদ আলম অভিযোগ করেন, সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারি চক্রের ‘ডন’ রাসেল ও তার সহযোগী মামুনসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। খবর প্রকাশ করায় তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত রাসেল ও মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন বলেন, “সাংবাদিক খোরশেদ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত আরও এগিয়ে যাবে।”