স্বপ্ন দেখার আগেই থমকে গেল কোমলমতি ফাতেমার ডাক্তার হওয়ার আশা

ইনসেটে ফাতেমা আক্তার
ইনসেটে ফাতেমা আক্তার  © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার। মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুনিয়া গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহত ফাতেমা আক্তার উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের প্রবাসী বনি আমিন ও রুপা দম্পতির বড় মেয়ে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ফাতেমার বাবা বনি আমিন কুয়েত প্রবাসী। দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরে আসেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর থেকেই ফাতেমাকে খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবার। পরে হাসপাতালে গিয়ে ফাতেমার নিথর দেহ খুঁজে পান স্বজনরা। সোমবার (২১ জুলাই) রাতেই তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় জানাজা শেষে কুনিয়া কাওমি মাদ্রাসা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ফাতেমার চাচা জানান, তিন ভাইবোনের মধ্যে ফাতেমা ছিল সবার বড়। ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। দাদিও চেয়েছিলেন নাতনিকে চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলতে। অথচ সেই স্বপ্ন আজ কেবলই অতীত।

এই মৃত্যুতে পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকার প্রতিটি মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের পরিবেশ।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!