কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশালাকৃতির ৩ পাখি মাছ, বিক্রি কত?
- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৬ PM , আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:৩১ PM
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকৃতির তিনটি পাখি মাছ। স্থানীয়দের কাছে মাছগুলো ‘সেইল ফিশ’ বা ‘গোলপাতা মাছ’ নামেও পরিচিত।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে মাছ তিনটি আলীপুর মৎস্য আড়তের বিএফডিসি মার্কেটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। পরে নিলামের মাধ্যমে মোট ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় মাছগুলো। এ সময় মাছগুলো একনজর দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জেলে আবু সালেহ মাঝি ২৩ জন জেলেসহ ‘এফবি আল্লাহর দোয়া’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গিয়ে জাল ফেললে ইলিশের সঙ্গে পাখি মাছ তিনটিও ধরা পড়ে। পরে মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তবে বাজারে এ মাছের চাহিদা কম থাকায় সাফা ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. চয়ন ৩৫ কেজি ওজনের একটি মাছ ৪০০ টাকা কেজিতে ১৪ হাজার টাকায় এবং বাকি দুটি মাছ স্থানীয় ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ৯ হাজার টাকায় কিনে নেন।
জেলে আবু সালেহ মাঝি বলেন, গত পরশু দিন কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১৭০ কিলোমিটার গভীরে জাল ফেলতেই ইলিশের সঙ্গে এ মাছগুলো উঠে আসে। আগে এসব মাছ বেশি ধরা পড়ত।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ কেন ঘোষণা নয়— হাইকোর্টের রুল
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বলেন, এসব মাছ সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ধরা পড়ে। এলাকায় এর চাহিদা কম, অনেক সময় ২০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়। মাছটি অপরিচিত হওয়ায় অনেকেই খেতে চান না। তবে কক্সবাজার ও ঢাকায় এ মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে।
সাফা ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. চয়ন বলেন, এ ধরনের মাছ সচরাচর দেখা যায় না। এলাকায় চাহিদা কম হওয়ায় ঢাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। তবে মাছটি বেশ সুস্বাদু এবং দামেও তুলনামূলকভাবে কম।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘পাখি মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রে থাকে। পরিবেশগত পরিবর্তন ও ঘন ঘন সমুদ্রের আবহাওয়া খারাপ থাকায় এসব মাছ তীরে আসে না। তাই কম ধরা পড়ে। তবে আগের তুলনায় বঙ্গোপসাগরে এসব মাছের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি, বড় আকৃতির ইলিশের পাশাপাশি জেলেদের জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আরও বেশি ধরা পড়বে।’