আশুলিয়ায় ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নির্যাতন, ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

আশুলিয়ায় ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নির্যাতন
আশুলিয়ায় ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নির্যাতন  © সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়ায় এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মারধর ও ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. খোকন মিয়া। সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। এর আগে, গত সোমবার (০৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে জিম্মি করে মারধর করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পূর্ব হারিয়াবাড়ী এলাকার মো. ইসমাইল হোসেন (৫৫), তার ছেলে মো. সিফাত (২৫), ভাই মো. জলিল হোসেন (৪৫) এবং একই এলাকার মো. আব্দুস সালাম (৪২)। তারা সবাই ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান মনসুরনগর এলাকার রনি সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

এদিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. খোকন মিয়া (৪৩) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার শ্যামপুর এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পানধোয়া এলাকায় বসবাস করে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. খোকন মিয়া জানান, গত ১৬ মে অভিযুক্ত সিফাতের সাথে তার ভাতিজি সোনিয়া আক্তারের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে সিফাত আমার ভাতিজির সাথে সাংসারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করাসহ প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে সোনিয়া তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। 

তিনি আরও জানান, উক্ত ঘটনার জের ধরে অভিযুক্তরা ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাকে আমার বর্তমান ঠিকানার বাসা থেকে আমবাগান মনসুরনগর এলাকায় তাদের ভাড়াটিয়া বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ইসমাইলের নির্দেশে সিফাত, জলিল ও সালাম তাদের বাসার একটি কক্ষে জিম্মি করে আমাকে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। তারা আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং আমার ভাতিজিকে তাদের কাছে বুঝিয়ে না দিলে চার লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে রাত ২টার দিকে আমার পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় ওই কক্ষ থেকে আমাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence