চলন্ত ট্রেনেই থেমে গেল জীবনের গতি—ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা হলো না নূর হোসেনের

মো. নূর হোসেন
মো. নূর হোসেন  © সংগৃহীত

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে স্ট্রোক করে মো. নূর হোসেন (৪২) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে ওই যাত্রীকে নামানো হয় ট্রেন থেকে। এরপর ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নূর হোসেন কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার আলীশ্বর ইউনিয়নের কাকসার গ্রামের অহিদুর রহমানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম জেলার অক্সিজেন এলাকার ওয়ালটন শোরুমের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন।

ফেনী রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কেল থেকে তাদের জানানো হয় যে চট্টলা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী ট্রেনেই স্ট্রোক করেছেন। খবর পাওয়ার পর রেলওয়ে পুলিশ ফেনী স্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেনটি ফেনী স্টেশনে পৌঁছালে ওই যাত্রীকে অচেতন অবস্থায় নামিয়ে স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশের সহায়তায় দ্রুত ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

আরও পড়ুন: এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি, কাল থেকে অবস্থান

নিহতের বাবা অহিদুর রহমান বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। সন্ধ্যায় ট্রেনে ওঠে। পরে একজন ফোনে জানায়, ছেলের অবস্থা খারাপ। তখনই বলি, যেন ফেনীতে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আমরা রওনা দিই। মাঝপথেই খবর আসে, সে আর বেঁচে নেই।’

কুইক রেসপন্স ফেনী টিমের সদস্য জয় বলেন, ‘ফেনী মডেল থানা পুলিশের নির্দেশে আমরা অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার মনে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।’

ওয়ালটনের ফেনী সার্ভিস পয়েন্টের কর্মী মো. আবু সাইম বলেন, ‘আমরা গ্রুপে খবর পেয়েই ছুটে যাই স্টেশনে। সহকর্মীর এমন মৃত্যুতে আমরা সকলে মর্মাহত ও শোকাহত।’

ফেনী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গুণবতী এলাকায় পৌঁছানোর পর তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং সম্ভবত সেখানেই স্ট্রোক করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’


সর্বশেষ সংবাদ