চাটমোহর প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন শহীদ শামসুদ্দিন স্মৃতি সংঘ
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ১১:২৬ AM , আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ AM
পাবনার চাটমোহরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত চাটমোহর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (সিপিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গুনাইগাছা শহীদ শামসুদ্দিন স্মৃতি সংঘ।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে চাটমোহর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় তারা ১১৬ রানে মথুরাপুর আদর্শ ক্রিকেট ক্লাবকে পরাজিত করে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুনাইগাছা শহীদ শামসুদ্দিন স্মৃতি সংঘ নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে জাহিদ ৭২ ও আরিফ ৪৭ রান সংগ্রহ করেন। মথুরাপুর আদর্শ ক্রিকেট ক্লাবের শুভ ৩টি ও রনি ৩টি উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মথুরাপুর আদর্শ ক্রিকেট ক্লাব মাত্র ৭ ওভারে ৭৩ রান করে অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে শুভ ৩৪ ও মারুফ ১৬ রান সংগ্রহ করেন। গুনাইগাছা শহীদ শামসুদ্দিন স্মৃতি সংঘের বিজয় ৪টি ও জাহিদ ৩টি উইকেট লাভ করেন।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন শহীদ শামসুদ্দিন স্মৃতি সংঘের জাহিদ এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন একই দলের আরিফ।
১১ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের ধুলাউড়ি মুক্তার মোল্লা ক্রিকেট একাদশের রাকিব সেরা বোলার এবং ২৫৮ রান সংগ্রহ করে ডিবিগ্রাম ইউনাইটেডের মেহরাব সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার লাভ করেন। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিলের দাবিতে ফের কর্মসূচির ঘোষণা
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব হাসাদুল ইসলাম হীরা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাটমোহর পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আরশেদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল, চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আলমগীর হোসেন, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েল, সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুদ রানা, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট ক্লাবের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাব্বির, সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
টুর্নামেন্টে পৌরসভার একটি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাতটি দলসহ মোট আটটি দল অংশ নেয়। গত ২ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। টুর্নামেন্টের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামাজিক বন্ধন।