মিরসরাইয়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

পশুর হাট
পশুর হাট  © টিডিসি ফটো

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের গুলো। ঈদের বাকি মাত্র দুই দিন, শেষ সময়ের কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। উপজেলার বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে এখন প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন)  সকালে বারইয়ারহাট পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিক্রেতারা পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বাড়ছে। বিক্রেতারা আশা করছেন, আজ এবং আগামীকাল হাটে কেনাবেচা তুঙ্গে থাকবে।

ক্রেতারা জানিয়েছেন, পশুর দাম এবার অনেকটাই নাগালের মধ্যে। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর প্রতি বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। বারইয়ারহাট হাটে গরু কিনতে আসা শাফায়েত হোসেন বলেন, “বাজারে দাম সহনীয় মনে হচ্ছে। আশা করছি আজই একটি গরু কিনে নিতে পারবো।”

অপরদিকে, উপজেলার মিঠাছড়া বাজারেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা। সেখানকার বিক্রেতা রাজিব হোসেন বলেন, ‘গরুর দামে খুব একটা লাভ নেই, খরচটা উঠিয়ে দিতে পারলেই বিক্রি করে দেব।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মিরসরাইয়ে কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার হলেও প্রস্তুত রয়েছে ৫৭ হাজার পশু। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার গরু, ৩ হাজার মহিষ, ১৭ হাজার ছাগল ও ৭ হাজার ভেড়া। চাহিদার অতিরিক্ত এ ৭ হাজার পশু দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।

পশু কেনাবেচার জন্য মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৩১টি পশুর হাট বসে। এর মধ্যে মিরসরাই বাজার, বড়তাকিয়া, মিঠাছড়া, জোরারগঞ্জ, বারইয়ারহাট, আবুরহাট, আবুতোরাব ও কয়লা গরুর বাজার উল্লেখযোগ্য। এসব হাটে স্থানীয় ও বাইরের বেপারিরা গরু কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন।

বর্তমানে মিরসরাইয়ে প্রায় ২১ হাজার মানুষ খামারি, কৃষক ও বেপারিরা এই পেশার সঙ্গে জড়িত। অনেকে বাড়তি আয়ের আশায় বাড়িতেই গরু মোটাতাজা করে হাটে তুলেছেন। সবমিলিয়ে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলায় জমজমাট বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!