বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা গ্রন্থ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৪১ AM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৪১ AM
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: সমাজ ও রাষ্ট্রভাবনা’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ ও বিইউপির বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাঙালির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপার ভালবাসা। পারিবারিকভাবেই অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী, সমাজ সচেতন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বাস নিয়ে তিনি বেড়ে উঠেছেন। ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ এক কঠিন জীবন ছিল তাঁর নিত্য দিনের পথ চলা। স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামে তিনি নিজেকে সবসময় নিবেদিত রেখেছেন। বিশ্বে যতো আধুনিক বিজ্ঞানমুখী সমাজব্যবস্থা তৈরি হবে বঙ্গবন্ধু ততবেশি প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য হবেন। তাঁর লেখা বইগুলো যতবার পড়ি ঠিক এই কথাগুলোই বেশি মনে হয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সময়ে তিনি যা কিছু করেছেন, যা কিছু বলেছেন তাঁর সবকিছুই এখন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। সে কারণেই তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন আমাদের বাতিঘর ও ধ্রুবতারা হয়ে। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে বই প্রকাশ করেছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’
অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, দুর্নীতি, কুসংস্কারমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর সমাজভাবনা। আর বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনা ছিল বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।