অমর একুশে বইমেলায় ববি শিক্ষার্থীর কাব্যগ্রন্থ

  © টিডিসি ফটো

অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ববি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী খাজা আহমেদের কাব্যগ্রন্থ ‘এক অন্ধ হোমারের ডাকে’। এটি কবির চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ। এর আগে তিনটি বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘স্বপ্নবাজ -২১’,‘মেঘ ভাঙা চাঁদ’,‘বিচ্ছিন্ন সভ্যতার আর্শীবাদ’।

প্রেম, ভালোবাসা, আবেগ, প্রকৃতি নিয়ে সবাই কবিতা লিখে কিন্তু কবি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে বাস্তবতার যোগ- বিয়োগ, মনের হাহাকার, রাষ্ট্র ও মানুষ নিয়ে কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় কবি লিখেছেন ‘এক অন্ধ হোমারের ডাকে’।

কবি খাজা আহমেদ এর ‘এক অন্ধ হোমারের ডাকে’ একটি বহুমাত্রিক বিষয়ের সন্নিবেশন। কাব্যগ্রন্থটি একটি স্বতন্ত্র, স্পষ্ট, বৈশিষ্ট্যমূলক কবিতার বই। কবিতার ছন্দে তিনি রাজনীতি, নগর জীবন, সীমান্ত হত্যা, ভ্রুণ হত্যা,দেবতার গাড় অভিশাপ,সামাজিক মূল্যবোধ, বিশ্বরাজনীতি-বর্বরতা, ফিলিস্তিনিদের লাল রক্ত, বার্মার জাতিগত গণহত্যা ইত্যাদি মর্মন্তুদ, বিয়োগাত্মক ঘটনাদি তুলে ধরেছেন সুনিপুনভাবে। একইভাবে কবি মানব প্রেম, ঈশ্বরবন্দনা, রোমান্টিকতা, বৃষ্টির মোহময়তার আবেদন, মনের হাহাকারসহ মানব মনের রহস্যও প্রস্ফুটিত করেছেন কোমল হাতে।

‘এক অন্ধ হোমারের ডাকে’ বইটি পড়ে মনে হতে পারে লক্ষ্যভেদী কোন গন্তব্যের পদ রেখায় হেঁটে যাওয়ার বাসনায় কবি খাজা আহমেদ অগণন সূর্যালোকের অনাবিষ্কৃত সত্যাগ্রহের কক্ষে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন উজ্জ্বল নীল চোখ নিয়ে আবার যাঁর ভেতরে কেঁঁদে মরছে অন্য বৈশাখ। যেখানে যৌবনের মাতাল ঝড় বিদ্রোহে বিপ্লবে পোস্টারে স্লোগানে হন্যে হয়ে খোঁজেন জীবনের মানে।

কবি বিনির্মানের প্রতি জোর দিয়েছেন বেশি, তাই প্রাচীন বক্তব্যের সঙ্গে আধুনিক অনুষঙ্গের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন। কবি ভ্রুণহত্যার কথা বলেছেন, কাল্পনিক দেবতার স্থলে মানুষের কথা বলেছেন আবার বলেছেন দেবতার গাঢ় অভিশাপের কথা।এখানেই কবির নিজস্বতা, এখানেই বিনির্মানের মূল সূত্র লুকিয়ে আছে। কোন কোন কবিতায় স্বদেশপ্রেম-ভাবনা কবিকে নিয়ত তাড়িত করেছে। সৃষ্টিশীল মননের অধিকারী ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যদের থেকে ভিন্ন।কবি খাজা আহমেদ এর ভেতর সৃষ্টিশীলতার অন্যতম অনুষঙ্গ পরিলক্ষিত হয়েছে ‘ক অন্ধ হোমারের ডাকে’ কাব্যগন্থ জুড়ে। যা পাঠক মাত্রেই আকর্ষিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

আমার আরো বিশ্বাস, খাজা আহমেদ এর গ্রন্থটি সকল অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা-অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নিরসন ঘটাতে সাহায্য করবে।

কবি খাজা আহমেদ বলেন, ‘এক অন্ধ হোমারের ডাকে’ আমার চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ। এখানে আমি আমাদের চারপাশের কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সামগ্রিক লেখা প্রথমত ব্যক্তি সার্থকতার জন্য আমি লিখে থাকি তৎপরবর্তীকালে এই লিখা পড়ে যদি কোনো পাঠক সামান্যতম উপকৃত হয় সেখানে আমার অনন্য সার্থকতা।

বইটি আলহামদুলিল্লাহ অনেকেই সংগ্রহ করেছেন,অনেকের ভালোলাগার অনুভূতি গুলো বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন। এতে আমি অত্যন্ত খুশি। আর এটা বলার অবকাশ রাখে না একজন লেখকের কাছে পাঠকের সামান্য অনুভূতিও লেখকমনকে তাড়িত করে পৌঁছে দেয় অনন্য উচ্চতায়।

যেখানে বইটি পাবেন
‘‘এক অন্ধ হোমারের ডাকে’’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশনী করেছে চতুর্দিক প্রকাশন। বইটি পাওয়া যাবে বিবর্তন প্রকাশনীর ৫৫৭ নাম্বার স্টলে।


সর্বশেষ সংবাদ