চাকরিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চাকরিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
চাকরিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

মৎস্য অধিদপ্তরের নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে, মৎস্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডারের দশম গ্রেডের বিভিন্ন পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তত্ত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা পদসমূহে মোট ২০১ টি শূন্য পদের নিয়োগে শুধু প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদন করার যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিকালে কিংবা কালকের মধ্যেই বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মাৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। অন্য দিকে নবম গ্রেডের চাকরির আবেদনে মাৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকদের আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর হাজারের অধিক মৎস্য গ্রাজুয়েট পাশ করে বের হলেও গত চার বছরে বিসিএস এবং সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে মিলিয়ে মাত্র শতাধিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছে। চাকরিরর ক্ষেত্র সীমিত হওয়ায় মৎস্য গ্রাজুয়েটরা বিভিন্ন সরকারী দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনীর চাকুরিতে আবদেন করছে। সেখানে মৎস্য বিষয়ক সরকারি দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরিতে আবেদনের সুযোগ না রাখা খুবই দুঃখজনক।

মানববন্ধনে বক্তারা চলমান নিয়োগ কার্যক্রমে টেকনিকাল পদসমূহে মাৎস্যবিজ্ঞান স্নাতকদের সুযোগ প্রদান এবং নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা -২০২০ সংশোধনের জন্য কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান। সেই সাথে নতুন পদ সৃষ্টি এবং সুগঠিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এসময় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: ভয় না পেয়ে টিকা নিয়ে নেন, দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী

মানববন্ধনে একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, বাংলাদেশে মৎস্য সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে আমারা বিশ্বে ৩য়, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে ১ম, তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ। এই অবদানের পিছনে রয়েছে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদেও অবদান। যে সব সেক্টরে মৎস্য বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটরা চাকরির সুযোগ পাচ্ছে সেখানে প্রাণিবিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটরা চাকরির সুযোগ পেলেও মৎস্য বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটরা সব জায়গায় আবেদন করতে পারছে না।

একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের গ্রাজুয়েটরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। টেকনিকাল সেক্টরে যেখানে মৎস্য গ্রাজুয়েট চাকরি পাবার কথা সেখানে প্রাণিবিজ্ঞান গ্রাজুয়েটরা চাকরি পাচ্ছে। ফলে প্রাণিবিজ্ঞান গ্রাজুয়েটদের বেশি আসন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি পুরনের প্রয়োজনে আমরা আন্দোলন ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে যাবো। এই আন্দোলন সারাদেশের সকল মৎস্য গ্রাজুয়েটদের আন্দোলন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence