সিকৃবির বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিজ দেশে কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছে: উপাচার্য

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড.  মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, ছোট-বড় টিলা ঘেরা সবুজ-শ্যামল সুনিবিড় ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আধুনিক কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের বাতিঘর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভালো লাগার চারণভূমি হয়ে উঠছে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা সিকৃবিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে নিজ নিজ দেশে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছে।

শুক্রবার (১৬ মে) স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী ১২ জন নেপালি শিক্ষার্থীর হাতে সনদপত্র তুলে দেয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। সনদপত্র  প্রদান শেষে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার পাশাপাশি  সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেন। 

সনদপত্র গ্রহণকারী ১২ জন নেপালি শিক্ষার্থী  হলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সুর্য কুমার ইয়াদব, সুরাজ সাহা, দেবরাজ চৌধুরী, ধর্ম নারায়ন ইয়াদব, অস্মিতা রাই, রোজ কমল চৌধুরী এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অঙ্কিত রুগঙ্গ, রেশমা থাপা, বিষ্ণু সাহী, মাধব কৈরালা, নিরাজ বহরা, হিরাজন হামাল।

আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের ১২৭ আসন শূন্য, অপেক্ষমান থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ

সিকৃবিতে ২০১৯ সালে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভেটেরিনারি, এনিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদে ছয়জন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে ১৮৯ ক্রেডিট সম্পন্ন করে ডিভিএম ডিগ্রি অর্জন করেন। আর ২০২০ সালে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অনুষদে ছয়জন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে ১৯০ ক্রেডিট সম্পন্ন করে কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.  এ টি এম মাহবুব ই ইলাহী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আসাদ উদ দৌলা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো.সাখাওয়াত হোসেন, এডিশনাল রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ গোলাম রসুল, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন