পৃথিবীর সকল নির্যাতিত মানুষের পক্ষে ছিলেন বঙ্গবন্ধু: সিকৃবি উপাচার্য
- সিকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৩, ০৮:২২ PM , আপডেট: ২৩ মে ২০২৩, ০৮:২২ PM
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তার কথায়, কাজে, বিবৃতিতে পৃথিবীর সকল নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এবং অন্যায়, অসৌজন্যতা ও ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য লড়ে অনেক ত্যাগের পর রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাদ উদ্দিন মাহফুজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে এর কৃতিত্ব স্বরুপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ ‘বিশ্ববন্ধু’ ঘোষণা ও ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করেছিল। বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও আদর্শ অনুসরণ করে চলার এবং দেশের জন্য কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান করেন।
প্রসঙ্গত, বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেন। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়ান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কনফারেন্সে বিশ্ব শান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে এই পদক পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র।
সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে এই শান্তি পদক দিয়ে আসছে।