জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফল প্রস্তুত, প্রকাশের সময় জানালেন উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১১:৫৪ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৩ AM

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
আজ শনিবার (২১ জুন) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
এ সময় উপাচার্য বলেন, গত ৩১ মে (শনিবার) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা শহরে ৮৭৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।
অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল চলতি সপ্তাহে অর্থাৎ ২৩ জুন থেকে ২৫ জুন যেকোনো দিন প্রকাশ করা হবে। আমাদের রেজাল্ট প্রস্তুত রয়েছে এখন শুধু চেক করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে। আট বছর পর তাতে ফের পরিবর্তন আনা হল। এবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে।
আট বছর পর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ায় হয় এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে। ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রের জন্য সময় ছিল ১ ঘণ্টা। এবার পাস নম্বর ৩৫। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে ১ নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থী। ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
ইউজিসির সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স রয়েছে দেশের ৮৮১টি কলেজে। এরমধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল চার লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথমার্ধে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। দেশের এক হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এরমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা তিনটি, আদিবাসী একটি, প্রতিবন্ধী একটি, পোষ্য কোটা তিনটি।