বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি: এইচএসসির ফল প্রকাশের পর শেষ সময়ে শিক্ষার্থীদের করণীয়

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © সংগৃহীত

এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর)। এ মাসের শেষেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তির আবেদনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫-২৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এরপর একে একে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তি আবেদন শুরু হয়ে যাবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নভেম্বরের শেষের দিকেই শুরু হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তাদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানাতে শুরু করেছে। তাই শিক্ষার্থীদের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। ফলে শেষ সময়ে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে কিছু জরুরি পরামর্শ। 

ভর্তি আবেদন সম্পর্কে খোঁজ রাখা
একে একে সব বিশ্ববিদ্যালয়ই তাদের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা শুরু করে দিয়েছে। তাই পেপার বা বিভিন্ন নিউজ পোর্টালগুলোয় নজর রাখা উচিত। অনলাইনেও বিভিন্ন সাইট বা গ্রুপ থেকে ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ভালোমতো পড়ে, সে অনুসারে বিজ্ঞপ্তির সময়সীমার মধ্যেই আবেদন করে ফেলতে হবে। অবশ্যই তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে। কেননা অনলাইনে অনেক সময় গ্রুপগুলোতে ভুল তথ্য দেয়া হয়ে থাকে।

পরীক্ষার ধরণ সম্পর্কেও ধারণা নেওয়া
মেডিকেল, গুচ্ছ, কৃষি, প্রকৌশল বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন ইউনিটের পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন এক এক রকম হয়ে থাকে। অনেকে মেডিকেল, প্রকৌশল উভয় জায়গাতেই পরীক্ষা দেবে। কিন্তু দুই জায়গার পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন ভিন্ন ভিন্ন। তাই শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষার ধরণ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রশ্নব্যাংকগুলো বেশ সহায়ক হতে পারে। তাই বেশিও বেশি করে প্রশ্নব্যাংক সমাধান করতে হবে।

অনলাইনে মডেল টেস্ট
অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনের অনেক প্লার্টফর্মেই মডেল টেস্ট দেয়া যায়। মডেল টেস্ট দিলে নিজের পড়ার ঘাটতি বোঝা যায় আবার চর্চাও হয়। ফলে নিজেকে যাচাই করা সম্ভব হয়। তাই শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি মডেল টেস্ট দেয়া উচিত। 

সময় ব্যবস্থাপনা
যেহেতু হাতে আর খুব বেশি সময় নেই, তাই সময় নষ্ট না করে, একটা রুটিন সাজিয়ে ফেলতে হবে। সে অনুযায়ী সব কিছু সাজাতে হবে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ওপরে রাখতে হবে। কম গুরুত্বপূর্ণ নিচে রাখতে হবে। কোনোক্রমেই সময় নষ্ট করা যাবে না। 

আত্মবিশ্বাসী হওয়া
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কোনোভাবেই হারানো যাবে না। মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে। এটি খুবই জরুরি। অন্য কারোর সাথে তুলনা করা যাবে না। অন্যের সাথে তুলনা করলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কমে যায়।  

আরও পড়ুন : বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা কবে, যা জানা গেল

নিজের প্রতি যত্নশীল 
পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের শরীর এবং মনের প্রতিও যত্নশীল হতে হবে। কেননা এ সময় অসুস্থ হলে সারা বছরের সব পরিশ্রম বিফলে চলে যাবে। পর্যাপ্ত ঘুম, পানি পান, সুষম খাবার গ্রহণে লক্ষ্য রাখতে হবে। দিনে অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও যত্নশীল হতে হবে।

সবশেষে, অনেকেরই এইচএসসি-তে আশানুরূপ ফল আসেনি। তাই এটা নিয়ে মন খারাপ করে না থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ফলাফল খারাপ হলেও ভালো প্রস্তুতি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।


সর্বশেষ সংবাদ