উত্তীর্ণের চেয়ে আসন বেশি, তবুও শঙ্কা উচ্চ শিক্ষায়

উচ্চ শিক্ষায় শঙ্কা
উচ্চ শিক্ষায় শঙ্কা  © সংগৃহীত

এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। আর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য মতে, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজারের মতো। তারপরও উচ্চ শিক্ষা অর্জনে শঙ্কায় আছেন শিক্ষার্থীরা। লড়তে হবে ভর্তিযুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের মান ও সুযোগ সুবিধার বিচারে এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা। তবে শিক্ষামন্ত্রীর প্রত্যাশা একদিন কমে আসবে এই ভর্তি যুদ্ধ।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। ঘোষিত ফলে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এইচএসসির পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। উচ্চ শিক্ষা অর্জনে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আসন নিশ্চিত করতে যুদ্ধে নামেন তারা। প্রতিবছর আসনের তুলনায় উত্তীর্ণ শিক্ষর্থীর সংখ্যা কম থাকলেও অনেকেই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিতে পারেন না। এর কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে অনেকেই পড়াশোনা এগিয়ে নেন না। এছাড়া পরিবারের আর্থিক সমস্যায়ও অনেকে ছিটকে পড়েন।

আরও পড়ুন- এবারের ফলে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কঠিন হবে

প্রথম সারির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান অধিকাংশ শিক্ষার্থী। সে তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত আসন নেই। ফলে অনেকে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান না। আবার কেউ কেউ নিজ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে সেখানে স্থান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি অধিক হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার সেটি বহন করতে পারে না। ফলে উচ্চ শিক্ষা অর্জন অধরাই থেকে যায় অনেকের।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পথ বিশ্ব ব্যাপী সীমিত। যার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, সারাবিশ্বেই এই প্রতিযোগীতা করেছে। বিশ্বের কোথাও পছন্দসই বিষয়ে পড়ার সুযোগ সবাই পায় না। পছন্দের বিষয়ে পড়তে গিয়েই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের আসন কম নেই জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি আসন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই আসন রয়েছে দুই লাখের বেশি।

আরও পড়ুন- সেরা ছয় নারী বিজ্ঞানীর একজন ঢাবি অধ্যাপক গাউসিয়া

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, সবাইকেই উচ্চমাধ্যমিকের পর আরও পড়তেই হবে এমন ধারণা পৃথিবীর কোথাও নেই। তারপরও আমাদের পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। প্রতিবছর নির্ধারিত আসনের চেয়েও কিছু আসন খালি থেকে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ