আয়-ব্যয়ের হিসাব জানাতে অপারগ গুচ্ছ কমিটি

আয়-ব্যয়ের হিসাব জানাতে অপারগ গুচ্ছ কমিটি
আয়-ব্যয়ের হিসাব জানাতে অপারগ গুচ্ছ কমিটি  © সংগৃহীত

দেশে প্রথমবারের মত ২০টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জিএসটি) সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই আবেদন ফি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল ভর্তিচ্ছুদের। প্রথমে এই ফি ৬শ টাকা নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে কম আবেদনকারী পাওয়ায় ‘খরচ পোষাতে’ তা দ্বিগুণ করে ১২শ টাকা করা হয়।

তবে এ প্রক্রিয়ায় কোন খাতে ঠিক কত টাকা খরচ হয়েছে জানতে চাইলে সেসব বিষয়ে জানাতে অপারগতা দেখিয়েছে কমিটি।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তথ্য বলছে, বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগসহ তিনটি ইউনিটে মোট ২২ হাজার ১৩টি আসন আছে। এর বিপরীতে আবেদন প্রায় করেছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী। ‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন, ‘খ’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ১১৭ জন এবং ‘গ’ ইউনিটে ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি আবেদন করেছেন।

পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি আবেদন ফি দ্বিগুণ, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ভর্তিচ্ছুদের

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর হিসাব অনুযায়ী, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তিন ইউনিটে কমপক্ষে ২৭ কোটি ৮৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ টাকা ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন, প্রশ্ন প্রণয়ন, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন এবং ফল প্রকাশসহ যাবতীয় কাজে ব্যয় করা হয়েছে।

গুচ্ছ কমিটি বলছে, প্রথমবারের মত গুচ্ছ পরীক্ষা আয়োজনটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটা তারা গ্রহণ করেছেন। শুরুতে কম টাকায় আবেদন ফি নির্ধারণ করা হলে সেটাতে পর্যাপ্ত আবেদন না পাওয়ায় ফি বাড়ানো হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের খরচের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষার্থীদের টাকা শিক্ষার্থীদের জন্যেই ব্যয় হয়েছে।

এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গুচ্ছ কমিটি বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে। এ পরীক্ষা আয়োজনে বড় ধরনের খরচের প্রয়োজন ছিল। সেটি শিক্ষার্থীদের আবেদনের টাকায় হয়েছে।

পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি ভর্তিচ্ছুদের

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের আয়-ব্যয়ের হিসাব অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের হিসাব-নিকাশ গণমাধ্যমে প্রকাশের এখতিয়ার রাখে না। গুচ্ছ কমিটিও এসব বিষয়ে জানাতে বাধ্য নয়। এছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে কমিটির সঙ্গে তিনি যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে, ভর্তি প্রাথমিক আবেদনে ১২শ টাকার বাইরে আরও খরচ রয়েছে ভর্তিচ্ছুদের। ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনেও নির্ধারণ করা ছিল দুই হাজার টাকা। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদনের নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০-৭০০ টাকা করে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যায়ের আবেদনে আরও বেশি টাকাও নির্ধারিত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে মূলত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা করেছি। এতে মোট তিনটি ইউনিটে প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার শিক্ষার্থী পেমেন্ট করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ