‘এগ ফ্রিজিং’ নিয়ে ভাবছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী, এটি আসলে কি?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ AM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১২ AM
সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী তার ডিম্বাণু সংরক্ষণ (এগ ফ্রিজিং) নিয়ে খোলামেলা মতামত শেয়ার করেছেন। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বরাবরই খোলামেলা কথা বলেন তিনি। এবার নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার কথা জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি হুমা কুরেশির এক পডকাস্টে এসে নিজের এই মনোবাসনার কথা জানান তিনি।
পডকাস্টে অভিনেত্রী রিয়া জানান, ‘আমার বয়স ৩৩ বছর। আমি সম্প্রতি একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে এগ ফ্রিজিংয়ের জন্য গিয়েছিলাম। আমিও ভাবছি এটা করব।’ সন্তান নেওয়ার বিষয়টি ভাবলেও বিয়ে নিয়ে একেবারেই তাড়াহুড়ো করতে চান না এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শরীরের যে ঘড়িটা দৌড়াচ্ছে সে বলছে, যাতে এখনই মা হয়ে যাই। কিন্তু ক্যারিয়ারের চিন্তায় পিছিয়ে যাচ্ছি। ব্যাবসা বড় করতে হবে। সব দায়িত্বই রয়েছে।’
তবে বিয়ে না করেই যে মা হবেন এমন কোনও পরিকল্পনা যেমন রিয়ার নেই। পাশাপাশি রিয়া স্পষ্ট করে দেন, বিয়ে করার জন্য যেমন সঠিক বয়স হয় না। বিয়ে করতে সে রকম মানুষও পেতে হয়। সে ক্ষেত্রে খানিকটা দেরি হয়ে গেলে ডিম্বাণু সংরক্ষণ একটা বিকল্প হতেই পারে। সে বিষয়েই চিন্তা করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর প্রায় মাস তিনেক হাজতবাস হয় তার। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে টেলিভিশনে কাজ পেলেও সিনেমায় সেভাবে আর দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। এরপর নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করেন তিনি।
এগ ফ্রিজিং কী?
ইউসিএলএ হেলথ-এর এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, এগ ফ্রিজিং বা ওসাইট ক্রায়োপ্রিজারভেশন, হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে প্রজননক্ষম বয়সী কোনো নারীর ডিম্বাণু সংগ্রহ করে সেটি জমাট (ফ্রিজ) করার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। যেন ভবিষ্যতে তার প্রজনন সক্ষমতা বজায় থাকে। জমাট ডিম্বাণু থেকে প্রথম মানবশিশুর জন্ম হয়েছিল ১৯৮৬ সালে।
আরও পড়ুন : অভিনয় ছেড়ে ‘দ্বীনের পথে’ চলার ঘোষণা মৌ খানের, পরে পোস্ট ডিলিট
এই ডিম্বাণুগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করলেও কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় না। তবে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত ডিম্বাণু সম্পর্কিত তথ্যই পাওয়া যায়। বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং সিজারিয়ান সেকশনের মতো জটিলতা— এমন গর্ভাবস্থাজনিত ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বেশিরভাগ ক্লিনিকেই নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকে, যার পর এই গ্যামেট ব্যবহার করে গর্ভধারণের অনুমতি দেওয়া হয় না।
গত কয়েক বছরে ওসাইট ক্রায়োপ্রিজারভেশন প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে, বিশেষ করে ডিম্বাণুর জমাট অবস্থা থেকে টিকে থাকার সফলতায়। আমেরিকান সোসাইটি ফর রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন এখন আর এই পদ্ধতিকে পরীক্ষামূলক হিসেবে বিবেচনা করে না। গ্যামেটের টিকে থাকা, সম্ভাব্য নিষেক এবং জীবিত সন্তান প্রাপ্তির হার বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তি নারীদেরকে এমন এক পর্যায়ের স্বাধীনতা দিয়েছে, যা এমনকি পাঁচ বছর আগেও সম্ভব ছিল না।