আমাদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল: নোবেলের স্ত্রী

মাইনুল আহসান নোবেল ও তার স্ত্রী
মাইনুল আহসান নোবেল ও তার স্ত্রী  © সংগৃহীত

জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব। মঙ্গলবার (২৪ জুন) শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন শুনানিতে ভিকটিম উপস্থিত ছিলেন এবং আদালতে জানান, নোবেল জামিন পেলে তার কোনো আপত্তি নেই। এরপর আদালত জামিনের আদেশ দেন। শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন নোবেল, তার স্ত্রী। 

এসময় নোবেল ও ভিকটিমকে একসঙ্গে হাত ধরে হাঁটতে দেখা যায়। পাশে ছিলেন নোবেলের স্ত্রীও। তিনজনকেই হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নোবেলের স্ত্রী বলেন, ‘অভিযোগ তো কিছুই ছিল না। আমাদের মধ্যে আসলে একটু ঝামেলা হয়েছিল।’

এর আগে ১৮ জুন উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে তাদের বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। পরবর্তীতে গত ১৯ জুন কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নোবেল ও পাত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়ার উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। 

কারাগার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পক্ষের সাক্ষী নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, মো. খলিলুর রহমান, মো. সাদেক উল্লাহ ভূইয়া। এ বিয়েতে দেনমোহর ধরা হয় ১০ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর ডেমরা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। পরদিন ২০ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়,  ২০১৮ সালে নোবেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদীর পরিচয় হয়। এরপর বাদীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথাবার্তা বলতো নোবেল। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে গায়ক নোবেল ও ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ১২ নভেম্বর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে তাকে ডেমরার নিজ বাসায় ডেকে নেন নোবেল।


সর্বশেষ সংবাদ