মালয়েশিয়া

পড়ার বদলে সুরক্ষা পোশাক বানাচ্ছে স্কুলছাত্রী

স্কুলছাত্রী
স্কুলছাত্রী  © ডয়চে ভেলে

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনার চাপ কম। স্কুলে যেতে হয় না বাসায় বসেই যা পড়া হয়। মালয়েশিয়ার এক স্কুল ছত্রী অবসর সময়টা কাজে লাগাচ্ছে ডাক্তার-নার্সদের জন্য সুরক্ষ পোশাক সেলাই করে।

মা হাসনা পেশাদার দর্জি। বাড়িতে বসে পোশাক সেলাই করেন। মায়ের কাছ থেকে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সেলাই শিখে নেয় নুর আফিয়া কিসলিয়া জামজুরি।

এর আগে স্কুলছাত্রী আফিয়া বালিশের কাভার আর প্রতিবেশীদের জন্য পোশাক তৈরি করে হাত খরচের টাকা আয় করত। তবে গত মার্চ থেকে আর বালিশের কাভার এবং পোশাক তৈরি করে না। করোনা সংকটে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর স্থানীয় দুটি হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের জন্য পিপিই গাউন সেলাই শুরু করে মালয়েশিয়ার কুয়ালা পিলা শহরের এই স্কুল ছাত্রী।

অনলাইন ক্লাস আর খেলাধুলার বাইরে অনেকটা সময় হাতে থাকে বলে একদিন মা হাসনাকে আফিয়া বলেছিল, ‘মা, এখন তো হোম ওয়ার্ক থাকে না। ওই সময় আমি পিপিই সেলাই করি?’ মেয়েকে সানন্দে অনুমতি দিয়েছিলেন হাসনা।

সেই থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৩০টি পিপিই গাউন সেলাই করেছে আফিয়া। আরো ৬০টি গাউন সেলাইয়ের কাজ চলছে। মুসলিম পরিবারের সন্তান আফিয়া রোজা রেখেও চালিয়ে যাচ্ছে পিপিই গাউন সেলাইয়ের কাজ।


সর্বশেষ সংবাদ