হামলার সময় পহেলগামে সেনা না থাকার কারণ জানাল ভারত সরকার
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৫ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:০২ PM
কাশ্মীরের পহেলগামের কাছে বৈসারন এলাকায় প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ২৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চান।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিরোধী শিবির থেকে সবচেয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠে আসে— হামলার সময় বৈসারন এলাকায় কেন কোনো ধরনের নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না?
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রথম এ প্রশ্ন তোলেন, যার সঙ্গে একমত হন রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংসহ আরও অনেক রাজনৈতিক নেতা।
জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, বৈসারন রুটে সাধারণত প্রতিবছরের জুন মাস থেকে শুরু হওয়া অমরনাথ যাত্রার সময় থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তখনই সেনা মোতায়েন করে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু চলতি বছরে স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলো ২০ এপ্রিল থেকেই সেখানে পর্যটকদের নিয়ে যেতে শুরু করে, যার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো পূর্বতথ্য ছিল না। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই পর্যটন চললেও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল— সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সরকারি সিদ্ধান্ত। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, যদি ভারতের পানি সংরক্ষণের সক্ষমতা না থাকে, তবে চুক্তি স্থগিতের বাস্তবিক অর্থ কী?
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত কৌশলগতভাবে প্রতীকী। ভারতের অবস্থান কতটা কঠোর হতে পারে, তা বোঝাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ আসতে পারে, সেটারই এক রূপরেখা এটি।
বৈঠকে কংগ্রেস, বিজেপি, এনসিপি-এসপি, শিব সেনা, আরজেডি, ডিএমকে ও সমাজবাদী পার্টিসহ নানা রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন— জেপি নাড্ডা, সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল প্যাটেল, সসমিত পাত্র, শ্রীকান্ত শিন্ডে, প্রেমচাঁদ গুপ্ত, তিরুচি শিবা ও রাম গোপাল যাদব।