নুরুল হক নুর ও সাত কলেজের লোগো © টিডিসি সম্পাদিত
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ৭ কলেজের একটা নিজস্বতা আছে। নিজে কিছু করার তাগিদ থেকে/পরিবারকে সাপোর্ট দিতে ঢাকায় থেকে চাকরি বা ছোটখাটো কিছু করার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার নিমিত্তে অনেকেই ৭ কলেজে ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় হলে তাদের জন্য আর সে সুযোগটি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়া ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে বর্তমানে যেভাবে ভর্তির সুযোগ ও প্রক্রিয়া সেটিও থাকবে না। অনেকেই তখন আর এখনকার মতো ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে না। সুতরাং শিক্ষার্থীসহ সকলকে সব কিছু বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আহ্বান জানাই।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তখন থেকেই সংকট ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত করার আগেই অধিভুক্তি বাতিল করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এখন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে প্রশাসক করে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় সাত কলেজের কার্যক্রম চলছে। এখন নতুন করে সংকটের মুখে পড়েছে কলেজগুলো।
কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।