ড. কামরুল হাসান মামুন © ফাইল ছবি
সাত কলেজ নিয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সংস্করণে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ ড. কামরুল হাসান মামুন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মামুন লিখেছেন, দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি অনুযায়ী আলাদা একটি বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর বিভিন্ন পক্ষ নিজস্ব স্বার্থ বা উৎকণ্ঠা নিয়ে মাঠে নেমেছে। কেউ চাইছেন অক্সফোর্ড মডেল অনুসরণ করতে, কেউ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজিয়েট মডেল চাচ্ছেন। তবে এই কলেজিয়েট মডেলের প্রস্তাব তিনি আগেই দিয়েছিলেন, তখন তা গ্রহণ করা হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তার মতে, কেউ কেউ আবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা একই প্রশাসন ও শিক্ষক মণ্ডলীর অধীনে রাখার প্রস্তাব দিচ্ছেন, যা প্রশ্নবিদ্ধ। অন্যদিকে, কেউ বলছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়েই শিক্ষকতা করানো হোক। ‘তাহলে মানও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের হবে,’ লিখেছেন তিনি।
সাত কলেজে বর্তমানে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। কিন্তু শিক্ষার্থী সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার দাবি উঠছে। এ প্রসঙ্গে ড. মামুন বলেন, ‘শিক্ষক একই থাকবে, ছাত্রসংখ্যা একই থাকবে, কলেজগুলোও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখবে—এই অবস্থায় যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়া হয়, তবে সেটি কার্যত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সংস্করণই হবে। সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট ও শিক্ষার মানও তেমন হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।’
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, ‘সবকিছু একসঙ্গে পাওয়া যায় না। দূরবর্তী লাভই হলো আসল লাভ। সেই লাভ বুঝতে হলে প্রয়োজন দূরদৃষ্টি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের অধিকাংশের মধ্যেই সেই দূরদৃষ্টি নেই; আছে কেবল স্বল্পমেয়াদি স্বার্থপরতা।’