‘হলে শিবির ধরা পড়েছে, আপনারা আসেন’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক ছাত্রকে শিবির আখ্যা দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে হলের প্রথম ব্লকের চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিভাগের ফেসবুক গ্রুপের এডমিন হওয়া নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।

মারধরের শিকার রাশেদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত নাহিদ হাসান জয় কলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বুলবুল মাহমুদ একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।

আরও পড়ুন- সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দোটানায় আয়োজক কমিটি 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিয়াউর রহমান হলের ৪১৪ নম্বর রুমে থাকতেন রাশেদ। এসময় অভিযুক্তরা তার রুমে আসেন। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ফেসবুক গ্রুপের এডমিন হওয়া নিয়ে রাশেদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান অভিযুক্তরা। এসময় অভিযুক্তরা রাশেদকে কিল-ঘুষি দিয়ে আঘাত করা শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। অভিযুক্তরা এসময় হবিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতা মমিনুল ইসলামকে ‘হলে শিবির ধরা পড়েছে, আপনারা আসেন’ বলে ফোনে ডেকে নেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুল মাহমুদ বলেন, এটা আমাদের বিভাগের বিষয় নিয়ে একটা ঝামেলা। এখানে মারামারির কিছুই হয়নি। বিভাগের বড়ভাইদের মাধ্যমে মিটমাট হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, আমি বিষয়টি মাত্রই জানতে পেরেছি। সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কবে জানা যাবে সোমবার

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। সম্প্রতি নতুন কমিটির সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় পদপ্রত্যাশীরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় সংগঠনটির চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে।