রাবির লতিফ হলের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন

রাবির লতিফ হলের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন
রাবির লতিফ হলের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলে বিচারপতি মো. বজলুর রহমান পাঠাগার, হল ডাইনিং ও হলের পূর্ব ব্লকের তৃতীয় তলার ছাদসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এসব কাজের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, পাঠাগারকে বিদ্যার মহাসাগর বলা হয়। লাইব্রেরি অতীত ও বর্তমানকে একসঙ্গে ধরে রাখে। সে জ্ঞানের আঁধার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন করে দিয়েছে।

পড়ুন: রাবি ভর্তিযুদ্ধে বাংলা প্রস্তুতি যেভাবে

তিনি বলেন, লাইব্রেরি যতদিন থাকবে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করবে, বজলুর রহমান শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তার কর্মের জন্য আমাদের কাছে বেঁচে থাকবেন। আশির দশকে সব আন্দোলনে বজলুর রহমান সক্রিয় ছিলেন। তিনি ছাত্রদের কল্যাণে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।

উদ্বোধনী শেষে হলের অডিটোরিয়ামে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গল্পকথন পর্বের আয়োজন করা হয়। গল্পকথন পর্বে হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হলটিকে ঘিরে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

পড়ুন: বিতর্ক নিয়েই বিদায় নিলেন রাবি উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান

এসময় বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া তহমিনা সরকারের সঞ্চালনায় উপাচার্যসহ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম এবং হল প্রাধ্যক্ষ এক্রাম হোসেন।

বজলুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও সিনেট সদস্য এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। তিনি গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আপিল বিভাগে বিচারিক দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনিসহ আপিল বিভাগে বিচারক সংখ্যা ছিল ৯ জন।

পড়ুন: রাবি ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতি যেভাবে

বজলুর রহমান ২০০১ সালের ৩ জুলাই একই সঙ্গে হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেও পরে বাদ পড়েন। উচ্চ আদালতের আদেশে ২০০৯ সালে তিনি ১০ মে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।

১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

উচ্চশিক্ষা থেকে আরও পড়ুন


সর্বশেষ সংবাদ