বিতর্ক নিয়েই বিদায় নিলেন রাবি উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান

অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও রাবি লোগো
অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও রাবি লোগো  © টিডিসি ফটো

নানা বিষয়ে বিতর্ক থাকলেও নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষেই পদ ছাড়লেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বুধবার (৫ মে) নিজ দফতরে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। উপাচার্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছর পূর্ণ হওয়ায় স্বীয় পদ ছাড়লেন এম আব্দুস সোবহান।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. আজিজুর রহমান জানান, বুধবার উপাচার্য তাঁর দফতরে এসে সকলের সাথে বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। আজ তিনি আসবেন কি না এবিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবস্থায় কোন বিশেষ আয়োজন নেই বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় জিডি করলেন রাবি উপাচার্যের জামাতা

এর আগে, গত ২ মে উপাচার্যের ডাকা ফাইনেন্স কমিটির সভাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বাসভবন, সিনেট ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান করেন চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। তারা জানান, ইতোমধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুতরাং মেয়াদের শেষ সময়ে তিনি যেন অতীতের মতো আর দুর্নীতি কোন করতে না পারেন, সেজন্য এই অবস্থান। তবে পরবর্তীতে তালা খুলে দেন তারা।

অন্যদিকে সেদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি বিরোধী প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ অভিযোগ তোলে বলেন,মেয়াদের শেষে এসে বর্তমান প্রশাসন বরাবরের মতোই চরম অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ও স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে তারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছেন। কেননা, সব ধরনের নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান প্রশাসন নিয়োগ-বাণিজ্যের জন্য এডহকভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

আরো পড়ুন রাবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, গুলি করে হত্যার হুমকি! (ভিডিও)

মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সকল অবৈধ কাজ ও দুর্নীতিকে উপাচার্য অত্যন্ত চতুরতার সাথে দাপ্তরিকভাৱে বৈধ করতে ফাইন্যান্স কমিটি এবং সিন্ডিকেট সভা ডেকেছেন উল্লেখ করে তা বন্ধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ দাবি করেন তারা। এছাড়া গত ৪ মে উপাচার্যের ডাকা শেষ সিন্ডিকেট সভাও চাকরি প্রত্যাশী ও শিক্ষকদের তোপের মুখে স্থগিত করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য, স্বজনপ্রীতি ও নীতিমালা পরিবর্তন করে মেয়ে-জামাতাকে নিয়োগ এবং চাকরিক্ষেত্রে যোগ্যতা শিথিল করে কম যোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ উঠে উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মেয়াদের শেষের দিকে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে বারংবার বিতর্কিত হয়েছেন তিনি। এক পর্যায়ে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন তদন্তে নামলে বেশকিছু অভিযোগ প্রমাণ পান তদন্ত কমিটি। তবে বরাবরই এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে অবস্থা করেছেন রাবি উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান।

আরো পড়ুন ‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষক ও ছাত্রলীগের বাধায় রাবির সিন্ডিকেট সভা স্থগিত


সর্বশেষ সংবাদ