করোনা টিকা পাননি চবির অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী এখনো টিকা গ্রহণ করেননি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস এবং আবাসিক হল খোলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী ২৭ হাজার ৫৫০ জন। এরমধ্যে করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী যা মোট শিক্ষার্থীর শতকরা হিসেবে ১৩.২৫ শতাংশ। অন্যদিকে এক ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করেও টিকা পাননি ৪ হাজার ৪৭২ জন।

গত ১৬ আগস্ট থেকে চবিতে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা সশরীরে গ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয় প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। তবে আবাসিক হল এবং পরিবহন সেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। হল এবং পরিবহন চালুর দাবি জানালেও শতভাগ টিকার আওতায় আনার আগে এসব বন্ধ রাখার কথা জানায় প্রশাসন। 

এর আগে গত ২৭ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের তথ্য নিতে অনলাইন জরিপ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত তালিকা প্রস্তুতির সময় থাকলেও অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী তথ্য না দেয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ৯দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তথ্য দিয়েছে ১৩ হাজার ৩৬০ জন। জরিপে অংশগ্রহণ করেননি ১৪ হাজার ১৯৫ জন শিক্ষার্থী।

১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে কর্তৃপক্ষ যদি চায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খুলতে পারবে- উপাচার্যদের এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর দ্বিধাদ্বন্দ্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তাকিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্তের দিকে। তবে স্কুল-কলেজের মতো হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে নারাজ চবি কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস ও হল খোলার আগে শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকার আওতায় আনার দিকে জোর দিচ্ছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, যতো দ্রুত ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হবে ততো দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় রিওপেনিংয়ের দিকে যেতে পারবে। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা যাবে। তাই আমরা নিশ্চিত করবো, যেন সব ধরনের প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিন পায়।

তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা দেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয় কতো তাড়াতাড়ি খোলা সম্ভব। কিন্তু কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরও অর্ধেক শিক্ষার্থী তথ্য জমা করেছে। আমরা প্রাপ্ত তালিকা ইউজিসিতে পাঠিয়ে দিয়েছি- যোগ করেন রেজিস্ট্রার।


সর্বশেষ সংবাদ