মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার
‘কোনো অবস্থাতেই মনোবল হারানো যাবেনা’
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২০, ০৬:৪৫ PM , আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০, ০৬:৪৫ PM
‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য, অধিক বিনিয়োগ-অবাধ সুযোগ’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে অনলাইনে এ আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্র। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, ‘সব অসুখের মতো মানসিক অসুস্থতাও সমান গুরুত্ব পাওয়া উচিত সরকারের কাছ থেকে, ডাক্তারদের কাছে থেকে, স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে, সর্বোপরি পরিবারের কাছ থেকে। ’
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. হেদায়েতুল ইসলাম। এছাড়া সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড.আমির হোসেন, অধ্যাপক ড. মু. নুরুল আলম ও অধ্যাপক শেখ মু. মনজুরুল হক।
সেমিনারে অধ্যাপক ডা. হেদায়েতুল ইসলাম করোনা মহামারীতে সকলের মানসিক স্বাস্থ্য, বিবাহ বিচ্ছেদ ও পারিবারিক কলহ, আত্মহত্যার প্রবণতা, শরীরচর্চায় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, শিক্ষার্থীদের হতাশা এবং এর থেকে উত্তরণের উপায়সহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
হতাশাগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সবসময় পজিটিভ চিন্তা ভাবনা করতে হবে। তাদেরকে উদ্যমী হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মনোবল হারানো যাবেনা। তবে নিজের মধ্যে কোনো হতাশা কাজ করলে কাউন্সিলিং করে চিকিৎসা নিতে হবে।’
এছাড়া সেমিনারের সঞ্চালক ইফরাত জাহান জানান, মঙ্গলবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের মনোবিজ্ঞানীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং প্রদান করবে। সেক্ষেত্রে যাদের কাউন্সিলিং প্রয়োজন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম পূরণের মাধ্যমে কাউন্সিলিং নিতে পারবে।’
সেমিনারের সভাপতি শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠভাবে কাউন্সিলিং প্রদান করার জন্য নিরিবিলি জায়গায় শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অফিস বানানোর জন্য মাননীয় উপাচার্যকে অনুরোধ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “যেকোনো মানসিক সমস্যায় শিক্ষার্থীরা আমাদের ফোন করবে, তোমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।”