ধর্ষণ মামলা: ঢাকা কলেজের নাজমুলকে ঢাবির বলে প্রচার
- হাসান তামিম, ঢাকা কলেজ
- প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:১৭ PM , আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০৪ AM
লঞ্চের কেবিনে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের এক ছাত্রী।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঐ ছাত্রীর দায়েরকৃত মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান সোহাগকে প্রধান আসামি করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং মামলায় অভিযুক্ত আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের ছবির পরিবর্তে ভাইরাল হয়েছে ঢাকা কলেজের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসানের ছবি।
কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার বারিয়াকান্দি গ্রামের মো. রমজান আলী প্রধানের ছেলে নাজমুল ঢাকা কলেজের স্নাতক শ্রেণীর অনাবাসিক শিক্ষার্থী। বেশকিছু গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদে ঢাবির নাজমুল হাসান সোহাগ নামের সাথে ঢাকা কলেজের নাজমুল হাসানের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়াসহ নানান অপবাদ ও কটুক্তির দরুন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন নাজমুল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান জানান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের পরপরই কুচক্রী মহল ফেসবুক থেকে আমার ছবি সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে করে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় আমার ছবি।
নাজমুল জানান, অথচ এ ধরণের কোন ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এমন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত হবার পর থেকে আমি এবং আমার পরিবার সামাজিকভাবে নানান বাজে মন্তব্যের শিকার হচ্ছি। এতে করে পরিবারের সদস্যরাসহ আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। সবাইকে অনুরোধ করবো যেন মিথ্যা ছড়ানোর মাধ্যমে কারো ক্ষতি সাধন করা না হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) একই সংগঠনের ৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও রাজধানীর লালবাগ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী।
এর আগে একইভাবে নুরদের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রীর স্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইডেন মহিলা কলেজের এক ছাত্রীর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। পরে তিনি মামলাকারী ছাত্রী নন বলে নিশ্চিত করেছেন এবং তার ছবি ভুলভাবে প্রচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।