রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন আজ, গ্র্যাজুয়েটদের মিলনমেলা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ PM
শুরু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম মাঠে উদ্বোধনের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এবারের সমাবর্তনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ সমাবর্তন বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ১২তম এই সমাবর্তনে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনকারীরা। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রী অর্জনকারীরা। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এমফিল, এমডি ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী মোট ৫ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট। সাথে রয়েছেন তাদের পরিবার ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ফলে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম ফায়েজ।
সমাবর্তন সফল করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই, ডিএসবি, এসএসএফ, এনএসআইসহ নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো পুরো ক্যাম্পাস।
সকাল ৬টা থেকে শহরের নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ১৫টি বাস সমাবর্তীদের নিয়ে আসছে ক্যাম্পাসে। সমাবর্তন শেষে এগুলো আবার শহরে ফিরে যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে শাটল বাস সার্ভিস রাখা হয়েছে। এর বাইরে কোনো গাড়ি ভিতরে চলাচল করতে পারছে না। শাটলবাসে অভিভাবকরাও চড়তে পারবেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা নিঝুম বলেন, অ্যাকাডেমিক জীবনের একটি সুন্দর সমাপ্তি সমাবর্তন। দীর্ঘ ৭ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হচ্ছে। আজ যখন পিছন ফিরে দেখি, তখন মনে হয় একদম প্রথম দিনের সেই অচেনা ক্যাম্পাস, নতুন বন্ধুদের সাথে প্রথম পরিচয়, সেই অদ্ভুত উত্তেজনা সবই যেন এক সুন্দর স্মৃতি হয়ে গেছে। কল্পনায় বহুবার দেখা সেই দিনটা অবশেষে সত্যি বাস্তবে এসে ধরা দিতে যাচ্ছে। পরিবার ও বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ করছি। এটা আসলে অন্যরকম এক অনুভূতি।
তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আজ আমার অনেক ভালো লাগছে। মেয়ে আমার তার পড়াশোনা শেষ করে এই দিনটি পেয়েছে। এখানে অনেক ভালো লাগছে। মেয়ে আমাকে ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখাচ্ছে।
ফাইনান্স বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জহিরুল খান বলেন, রাবির এই দ্বাদশ সমবর্তনে এসে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টকর। যৌবনের একটা সময় যাদের সাথে ব্যয় করেছি আজ তাদের সাথেই আবার দেখা ও অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করা। জীবনের একটি সুন্দর দিন অতিবাহিত হলো।
দুপুর ১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। সমাবর্তনে বিশেষ আতিথি হিসাবে থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।