নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানো হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানো হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ  © টিডিসি সম্পাদিত

নীলক্ষেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলামসহ কয়েকজন। তবে সেখানে কোনও ব্যালট ছাপানো হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ছাপানোর প্রতিষ্ঠান বা ভেন্ডরদের পরিচয় সচেতনভাবে গোপন রাখা হয়েছে। এ গোপনীয়তা রক্ষা একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। এখানে নিশ্চিত করা যাচ্ছে যে, সব নিয়ম মেনে একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া বা দরপত্র আহবানের মাধ্যমে একটি পরীক্ষিত ও দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্যালট পেপার ছাপানোর পরে নির্দিষ্ট পরিমাপে কার্টিং করে তা ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যানিংপূর্বক মেশিনের পাঠযোগ্যতা নিশ্চিত করে  (machine readability) সিলগালাকৃত প্যাকেটে সরবরাহ করেন। যে ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিং করে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়, তা নীলক্ষেতের কোন দোকানে সম্ভব নয়।

আরও বলা হয়েছে, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ করা হয়েছে, তাতে এটি অরক্ষিত থাকার সুযোগ নেই। এখানে উল্লেখ্য যে, ব্যালট পেপার মুদ্রণ একটি বিশেষায়িত প্রক্রিয়া। এর প্রতিটি পর্যায়ে নিবিড় তত্ত্বাবধান ও নির্বাচন কমিশনে কঠোর তদারকি ছিল। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার পাওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা বা কেন্দ্র প্রধান সিগনেচার করেন। পরে ভোটারদের তা সরবরাহ করা হয়।

আরও পড়ুন: ডাকসু নিয়ে আবিদ-উমামাদের অভিযোগ, ৪ পয়েন্টে অবস্থান জানাল প্রশাসন

এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন হাজী মুহম্মদ হল সংসদের জিএস রাফিদ হাসান সাফওয়ান। তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্পষ্ট করেছে যে, নীলক্ষেতে কোনো ব্যালট পেপার ছাপানো হয়নি। এখন অনেকে নীলক্ষেতে প্রেসে যে ব্যালট পেপার দেখে থাকবেন, সেটার কারণ হচ্ছে, নির্বাচনের আগেই কিন্তু অনেক হলে মডেল ব্যালট দিয়ে দেয়া হয়েছিল। অনেক প্রার্থী সেগুলো ছাপিয়ে নিজেদের নামের পাশে ক্রস দিয়ে ইউনিক প্রচারণা চালিয়েছেন।’

এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নীলক্ষেতে ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ করেন আবিদুল ইসলাম। পরে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-প্রক্টরের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নীলক্ষেত গাউসুল আযমের নিচে ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ ব্যালট পেপার কে ছাপিয়েছে, কারা এখানে ছিল- সেটার তদন্ত করে সবার কাছে তুলে ধরা এখন প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব। 


সর্বশেষ সংবাদ