জাকসু নির্বাচন

ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগ কারচুপির চেষ্টা করছে, অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর

জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান
জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান বলেছেন, ‌‌‘আমরা দেখেছি বুধবার রাত থেকেই ছাত্রশিবির ও ঘুমন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কারচুপি করার চেষ্টা করছেন। এ পর্যন্ত ভোট সুষ্ঠু হলেও শঙ্কিত আমরা। কারণ রাত থেকে যে আয়োজন হচ্ছে, তা ভোট ও গণতন্ত্রকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে।’

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন তিনি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের অনুমতি নিয়ে সাদীকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যান একজন পোলিং অফিসার। এরপর ব্যালট সংগ্রহ করে তিনি ভোট দেন। এর আগে সাদী আরও বলেন, ‘ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের এবং হলের প্রার্থীদের নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের প্যানেলকে ভোট দেবেন।’

ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘৩৩ বছর পরে জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। এ নিয়ে জেন-জি ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু  রাত থেকে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের গুপ্ত প্রার্থীদের সুবিধা দিতে চেষ্টা করছে প্রশাসন। ভোট গণনার যে মেশিন আনা হয়েছে, তা নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের মদদপুষ্ট কোম্পানি থেকে আনা। আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করার দাবি তারা।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাদী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা চলছে। ডাকসু নির্বাচনেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের গ্রহণ করবে না। অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ব্যালট প্রশাসন কোনো একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে ছাপিয়েছে। কোনো অসঙ্গতি লক্ষ্য করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করবে।’

আরও পড়ুন: ভোটার ২৯৩, ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে ৪০০— অভিযোগ শিবির প্রার্থীর

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ১৭৮ জন প্রার্থী অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা। জাকসুতে ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে এক জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ পোলিং অফিসার ও ৬৭ সহকারী পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন ভোটাররা। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ