‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ২৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা 

সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ২৭ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল’। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ ও জি এস প্রার্থী মাহিন সরকার তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেন। 

প্যানেলের ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ২১তম শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক শিক্ষায়, স্বাস্থ্যবান ও মানসিকভাবে সুস্থ শিক্ষার্থী গঠনে, সহিংসতামুক্ত, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠায়, সমতা, অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্য বজায় রেখে, ডিজিটাল প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য, মুক্তি সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা ইশতেহার প্রণয়ন করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে জিএস পদপ্রার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘আমরা শুধু ইশতেহার দিয়ে থামব না, বরং প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। আমরা নিশ্চিত করব যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ প্রদান, কারিকুলাম আধুনিকায়ন, Super Computer ও উন্নত ল্যাব স্থাপন, One Student One Laptop কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র‍্যাংকিং ৫০০-এর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সত্যিকারের বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তাদের ২৭ দফা ইশতেহার হলো- 

DU First –সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ; দলীয় আধিপত্য নয়; একুশ শতকের প্রযুক্তি ও গবেষণায় নেতৃত্ব; বিশ্বমানের গবেষণা কেন্দ্র; নেতৃত্ব তৈরির কারখানা; নীতিনিষ্ঠ ও দলীয় আধিপত্যমুক্ত রাজনীতি; শিক্ষা হবে মুক্তির শক্তি, গবেষণা উন্নয়নের হাতিয়ার; নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাস; শিক্ষক নিয়োগে অ্যাকাডেমিক সাফল্য ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত; IELTS, GRE, TOEFL প্রস্তুতির জন্য সাপোর্ট সিস্টেম; কারিকুলাম আধুনিকায়ন; AI, IoT, Data Science ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত; সহিংসতামুক্ত রাজনীতি; গেস্টরুম ও র‍্যাগিং নিষিদ্ধ; সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা; শিক্ষক–কর্মচারীর দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান; One Student, One Laptop কর্মসূচি; বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র‍্যাংকিং-এ উন্নতি করা; সিন্ডিকেট থেকে সিনেটে ক্ষমতা স্থানান্তর; শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও ওয়েব পোর্টাল ও স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ।

এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য সেল, সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সেলর নিয়োগ; মাদক প্রতিরোধ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা; শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত; আধুনিক অবকাঠামো, সবুজ ক্যাম্পাস, নিরাপদ আবাসন; পরিবহন সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি; নারীদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস; ধর্ম নির্বিশেষে সমান মর্যাদা নিশ্চিত; গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য Bridge Course ও মেন্টরশিপ; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সহায়তা, গবেষণা তহবিল ও বার্ষিক Ethnic Festival; বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য International Student Center ও Exchange Club; শিক্ষার্থীর ক্ষমতায়ন; নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন; শিক্ষার্থীদের সিনেট-সিন্ডিকেটে ভোটাধিকার নিশ্চিত; গেস্টরুম, র‍্যাগিং, দখলদারি নির্মূল; শূন্য সহনশীলতা; সাংস্কৃতিক আধিপত্যমুক্ত পরিবেশ; মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের Orientation ও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন; বাজেট ও সিদ্ধান্ত অনলাইনে প্রকাশ।


সর্বশেষ সংবাদ