চাকসুর প্রার্থীতার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি ছাত্রদলের

লোগো
লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ভোটার ও প্রার্থীতার বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর। সেইসঙ্গে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। 

সোমবার শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আপত্তি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সকল সাধারণ এবং রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও সুষ্ঠু ধারার ছাত্ররাজনীতি চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা।  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও এর ব্যতিক্রম নয়। চাকসু নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনও মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের ঐক্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে “হ্যাঁ/না” ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়কে বিবেচনায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ক্যাম্পাসের সকল সংগঠনের মতামত সংস্কারে উপেক্ষা করা হয়েছে দাবি করে ছাত্রদল বলে, সিন্ডিকেট অনুমোদিত গঠনতন্ত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরতদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে সেখানে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। চবি ছাত্রদল মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের মতকে অগ্রাহ্য করেছে, যা সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে না। একইসঙ্গে, প্রশাসন কোনো বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না-সে বিষয়ে আমরা গভীর সন্দেহ প্রকাশ করছি। এছাড়া পদবিন্যাসে নারীর প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। 

অন্যদিকে দপ্তর সম্পাদক পদ ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত রাখা অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক বলে জানিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। 

এর আগে, শুক্রবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। 


সর্বশেষ সংবাদ