রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়েও ডাক পাননি ভাইভায়, যাবেন উচ্চ আদালতে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৩১ AM , আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৮ PM
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম হওয়া সত্ত্বেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক নিয়োগে ভাইভা বোর্ডে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।
আজমল হোসেন জানান, তিনি ২০০১–০২ শিক্ষাবর্ষে ফারসি বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ২০০৬ সালে স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অর্জন করেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান শিক্ষক নিয়োগে এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলকে শর্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেন এবং আদালত থেকে নির্দেশনাও পান।
পরবর্তীতে নতুন প্রশাসন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে বলা হয়, আগের আবেদনকারীদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই। সেখানে অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমে থাকা প্রার্থীদের যোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়। সেই শর্ত পূরণ করলেও তাকে ভাইভা কার্ড দেওয়া হয়নি বলে দাবি তার।
তিনি বলেন, কোনো স্বার্থ হাসিলের জন্যই কি আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত নিরপেক্ষ থাকা। কিন্তু আমি আজ অবিচার ও বৈষম্যের শিকার। আমার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তাই উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।
এ বিষয়ে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আজমল হোসেন প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে পারেননি। সে কারণে তার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। পরে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বে যারা আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই; কিন্তু যেহেতু পূর্বে তার আবেদন বাতিল হয়েছিল, তাই সেটি গৃহীত হয়নি। এছাড়া নতুন আবেদনে শর্ত পূরণ করলেও তিনি আবেদন করেননি, তাই ভাইভায় ডাক পাননি।