‘বিয়ে করে ইন্টারন্যাশনাল হলে থাকার স্বপ্ন’ পূরণ হচ্ছে না ঢাবি শিক্ষার্থীদের
- তাওসিফুল ইসলাম
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ PM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোয় প্রায়ই শোনা যায়, ‘বিয়ে করে নে, ইন্টারন্যাশনাল হলে সিট পাবি!’ এ কথা যেন মিথ হয়ে গেছে। ব্যাপারটা কী পুরোটাই সত্য, নাকি তা শুধু মিথ—বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দেয় অনেকের মনে। ঢাবির এক ‘রহস্যঘেরা’ হল যেন ইন্টারন্যাশনাল হল। শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্নজনের কাছে হলটি নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই।
১৯৬০-এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস। শুরুতে এটি শুধু ইন্টারন্যাশনাল হল হিসেবেই পরিচিত ছিল। ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের নামে হলটির নামকরণ করা হয় স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী হলে স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে থাকার সুযোগ রয়েছে। হলে বরাদ্দ থাকবে প্রত্যেক দম্পতির জন্য আলাদা ফ্ল্যাট। আরো রয়েছে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা। অনেকেই এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদেয় সুবিধা বলে সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করেন!
স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাউসার বলেন, আমিও কিছুদিন আগে এই জনশ্রুতির ব্যাপারে জেনেছি। দম্পতি হলে সিট বরাদ্দ পাওয়া যাবে, এটা সত্য নয়। এটা সম্পূর্ণ মিথ।
ইন্টারন্যাশনাল হলে যারা থাকেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের মতো এই হলটি আবাসিক হলেও এর আছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। ক্যাম্পাসের সবার কাছে তো বটেই, খোদ হলপাড়ার শিক্ষার্থীদের কাছেই হলটি এক রহস্য। ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গুঞ্জনও রয়েছে এ নিয়ে।
অধ্যাপক কাউসার বলেন, এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকেন। চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত এবং সহযোগী অধ্যাপক অবধি শিক্ষকরাও এখানে থাকেন। এর বাইরে কয়েকজন কর্মকর্তা থাকেন।
এই হল পরিচালনার জন্য আলাদা নীতিমালাও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শুধু বিদেশি পুরুষ শিক্ষার্থীরা থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমনকি বিদেশি মহিলা শিক্ষার্থীরাও এখানে থাকতে পারেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এই হলে থাকেন বলে জানান প্রাধ্যক্ষ কাউসার।
তবে মেয়েদের হলে বিদেশি নারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল হলের কোনো একটা ব্লক খালি করে তাদেরকে রাখার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান ইতিহাস বিভাগের এই অধ্যাপক।