বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রস্তাব ঢাবি শিক্ষক সমাজের

বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রস্তাব ঢাবি শিক্ষক সমাজের
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রস্তাব ঢাবি শিক্ষক সমাজের  © টিডিসি ফটো

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে আমলাতান্ত্রিক চর্চা ও দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ। একইসাথে ক্ষমতাকাঠামোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিচালনা কমিটি এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন, প্রভোস্ট ও প্রক্টর নির্বাচনের রূপরেখা দিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে একটি প্রস্তাবনা প্রকাশ করে সংগঠনটি।

‘শিক্ষা-ভাবনা-আমাদের প্রস্তাব’ এবং এবং ‘প্রশাসন ও ক্ষমতা কাঠামোর পুনর্বিন্যাস’ নামে দুই পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে শিক্ষকদের এই সংগঠন।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা, একজন শিক্ষকদের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের অনুপাত অন্তত ৪০ সংখ্যায় নিয়ে আসা, বাজার চাহিদার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন বিভাগে ভর্তি ৪০ জনের মধ্যে রাখা, পিএইচডি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাসিক অন্তত ৫০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া, শিক্ষার্থীদের খন্ডকালীন চাকুরি ও ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা।

এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বি-ধাপ পদ্ধতি গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথমে উচ্চতর ডিগ্রি বিবেচনায় একাডেমিক কমিটির একটি শর্টলিস্ট তৈরি করা এবং পরে শিক্ষার্থীদের সাথে সংলাপ ও প্রশ্ন উত্তর এবং নিয়োগ বোর্ডের সাথে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ও জনসংখ্যার বিকেন্দ্রীকরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে এ প্রস্তাবে।

আলোচক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত বিচারে সমাজের প্রতিষ্ঠান। এখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে। ফলে তারা যেভাবে চাইবে, সেভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় চলবে।
আলোচক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু শিক্ষক নন, ছাত্রদের স্টেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের সাথে রাষ্ট্রের সংস্কার জড়িয়ে আছে। রাষ্ট্র যদি সংস্কার না হয়, তাহলে সবকিছু পুনরায় ফিরে আসার বিপদ আছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার জন্য যা যা দরকার, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে। তবে রাজনীতির কারণে গত কয়েক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সার্টিফিকেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় লিখিত প্রস্তাবনা পাঠ করেন ড. শাহমান মৈশান, ড. খোরশেদ আলম, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence