ঢাবির উপ-উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ PM , আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ PM
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহাম্মদ ইসমাইলের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে জারি করার দাবিতে মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় প্রজ্ঞাপন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এ সময় তারা ‘লবিং না মেধা? মেধা মেধা’, ‘প্রোভিসির প্রজ্ঞাপন দিতে হবে, দিয়ে দাও’-সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন। শিক্ষার্থী জাবির বলেন, দ্রুত প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। অতীত ঘেঁটে দেখবেন নির্দলীয় কোনও ভিসি প্রোভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। তাহলে একজন নির্দলীয় মানুষ যখন প্রোভিসি হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন, তাকে কোন অদৃশ্য শক্তি তাকে আটকে দিল। আপনারা জানেন ও বোঝেন- সাদা, লাল, নীল রঙা রাজনীতি আমাদের স্যারের প্রোভিসি হওয়া আটকে দিচ্ছে। আমরা চাই না কোনো, দল এসে ঘাঁটি গাড়ুক।
আরেক শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, কোন অদৃশ্য শক্তিবলে তার প্রজ্ঞাপন আটকে দেয়া হলো? দলীয় শিক্ষক আমরা আর চাই না। ভিসিকে নিয়োগ দেয়ার সময়ও আমরা দেখেছি, একটি মহল ব্যাপক মহড়া দিয়েছে। এই মহড়া আর দিতে দেওয়া চলবে না। এক শিয়াল থেকে আরেক শিয়ালের হাতে আমরা আমাদের ভার্সিটিকে তুলে দিতে পারি না। ৯ দিন পরেও আজও তার প্রজ্ঞাপন হলো না কেন? অক্সফোর্ড থেকে যিনি পিএইচডি করেছন, ৫৩টি জার্নালে যার গবেষনাপত্র আছে- তাকেই আমরা চাই।
আরো পড়ুন: ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর অনুরোধ ঢাবির নতুন উপ-উপাচার্য সায়েমা হকের
মাহির বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রী সাক্ষী যে, কেমন আন্তরিক মানুষ ইসমাইল স্যার। কোটা আন্দোলনের একেবারে শুরু থেকে এক দফা আন্দোলনের শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেনঅ। বলেছিলেন, তোমাদের যদি কারো থাকার সমস্যায় তোমরা আমার এখানে থাকো। তোমাদের যত ধরনের সাহায্য সহযোগিতা লাগে, আমি দেব। এমন নিবেদিত প্রাণ একজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে কেন আজকে দলীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগের পায়তারা চলছে। জানতে চাই, এ মুহূর্তে কেন আটকে রাখা হলো তার প্রজ্ঞাপন?’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভাই আবু সাঈদ আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছে। তারা কি এই রাজনীতি করার জন্য রক্ত দিয়েছে? আমরা আন্দোলন করে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছি। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ্য ব্যক্তির হাতে যোগ্য দায়িত্ব দেখতে চাই।’ মানববন্ধন শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন শিক্ষার্থীরা।