ঢাবির এক হলের ক্যান্টিনেই ছাত্রলীগের বাকি ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা

কবি জসীম উদদীন হল ও লোগো
কবি জসীম উদদীন হল ও লোগো  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হলের ক্যান্টিনে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা। এর মধ্যে বেশির ভাগ বাকি খেয়েছেন হলের শীর্ষ পদ প্রত্যাশীরা বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাঁকির একটি তালিকা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে আসে। সেখান থেকে হিসাব করে দেখা যায় ৪ মাসে প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩ শত টাকা বাঁকি খেয়েছেন ছাত্রলীগের ১১ জন নেতা। যার মধ্যে একজন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ৬ জন শীর্ষ পদ প্রত্যাশী।

তালিকায় দেখা যায়, ৪ মাসে ১৫ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী ও ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের অনুসারী আশিক মাহমুদ। ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী ও শীর্ষ পদ প্রত্যাশী তাফসীর ৪ মাসে বাঁকি খেয়েছেন ১৩ হাজার ২০০ টাকা। সৈকতের অনুসারী ও শীর্ষ পদ প্রত্যাশী রাশেদুজ্জামান রনি ৩ মাসে বাঁকি খেয়েছেন ১২ হাজার টাকা। সৈকতের আরেক অনুসারী অপু বাঁকি খেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। সাদ্দামের অনুসারী হেদায়েতুল ইসলাম বাঁকি খেয়েছেন ২৬ হাজার ৮০০ টাকা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনানের অনুসারী কৌশিক বাঁকি খেয়েছেন ৪ হাজার টাকা, ছাত্রলীগ নেতা তুষার বাঁকি খেয়েছেন ১৬ হাজার ৮০০ টাকা, সাবেক সভাপতি ওয়ালীউল সুমন বাঁকি খেয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ টাকা, আব্দুল্লাহ সোহাগ বাঁকি খেয়েছেন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, আহসানুল হক শিমুল বাঁকি খেয়েছেন ৩ হাজার টাকা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রলীগের এমন বাঁকি খাওয়া ও চাঁদাবাজি করার কারণে ক্যান্টিন মালিক খাবারের দাম বাড়িয়েছেন এবং মান খারাপ করেছেন। আর ফল ভোগ করেছি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমাদের টাকায় খেয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এই টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা অপু বলেন, আমি আসার আগে ৫ হাজার টাকার মত বাঁকি ছিলো তা দিয়ে এসেছি। আর কোনো টাকা আমার বাঁকি নেই। শুধু শুধু এই টাকার দায় দেওয়া হচ্ছে আমার উপর। 

আরেক ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান রনি বলেন, বাঁকি আছে তবে আমি সেটা দিয়ে দেব। যে পরিস্থিতিতে আমরা বের হয়ে আসছি তখন টাকা দেওয়ার মত অবস্থা ছিলো না। আমি কথা বলে খুব শিগগিরই টাকা দিয়ে দেব।


সর্বশেষ সংবাদ